চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পর ‘মরণকূপ’-এর স্বীকৃতি পায় গ্রুপ ‘এফ’। হারলেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবে এমন সমীকরণের ম্যাচে আক্রমণভাগের একের পর এক ব্যর্থতায় ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সামনে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। তাদের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের সুবাস পাচ্ছিলো ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড। শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেল চিত্র। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে হার থেকে বাঁচান কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই সাথে নকআউটের আশাটা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল প্যারিসের ক্লাবটি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে আতিথ্য জানায় পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় স্বাগতিক দলটি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল ফরাসি ক্লাবটি। কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে না পারায় পাওয়া হয়নি গোলের দেখা। একটু গুছিয়ে নিয়ে নিউক্যাসলও চেষ্টা করে আক্রমণে যাওয়ার। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করে দুই দল। এর মধ্যে ম্যাচের ৯ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পায় নিউক্যাসল। তবে কাছ থেকে উড়িয়ে মেরে সফরকারীদের হতাশ করেন আলেক্সান্ডার ইসাক। তবে ২৪ মিনিটে ইসাকই উচ্ছ্বাসে ভাসান দলকে। বক্সের বাইরে থেকে আলমিরনের নিচু শট জানলুইজি দোন্নারুম্মা ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি।
সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। দারুণ দুটি সুযোগও আসে স্বাগতিকদের সামনে। যদিও গোল পাওয়া হয়নি প্যারিস পরাশক্তিদের। একটি প্রচেষ্টা অবশ্য দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি পারেনি পিএসজি। ১-০ গলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পিএসজি। অসাধারণ নৈপুণ্যে জাল অক্ষত রাখেন পোপ। এমবাপ্পের পাসে কাছ থেকে বার্কোলার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন ৩১ বছর বয়সী ইংলিশ গোলরক্ষক। শেষ দিকে আক্রমণের চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৮২ মিনিটে কাছ থেকে দেম্বেলের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। পাঁচ মিনিট পর এমবাপ্পের আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান পোপ।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বক্সে দেম্বেলের পা থেকে বল নিউক্যাসলের ডিফেন্ডার টিনো লিভরামেন্টোর কনুইয়ের নিচে লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে পিএসজির খেলোয়াড়রা।
রেফারি যদিও সাড়া দেননি। পরে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। অবশ্য এটি পেনাল্টি ছিল না কি না তা নিয়ে এরইমধ্যে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। দারুণ এক শটে বল জালে জড়িয়ে দলের আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছেন এই ফরাসি তারকা।
/আরআইএম
Leave a reply