১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার), ১৯৭১ সাল। বাঙালি পায় নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। গৌরবদীপ্ত এক অধ্যায়ের সূচনা হয় বাঙালি জাতির জীবনে। নতুন নিশান উড়িয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় বাংলাদেশের।
বিজয়ের ৫২ বছর, আবার এসেছে ডিসেম্বর। দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই ডিসেম্বরেই এসেছিল বিজয়। তাইতো এটা বিজয়ের মাস, বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জনের মাস।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথের সাঁড়াশি আক্রমণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদাররা। চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে তাদের পরাজয়ের বার্তা।
যৌথবাহিনীর একের পর এক আক্রমণের মুখে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে দখলদাররা। একাত্তরের ৭ই মার্চ এই ময়দানেই স্বাধীনতার ডাক দিয়ে স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
শেষমেশ সেই স্থানেই পরাজয়ের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম এ দিন পূর্ণতা পায় বিজয়ের মাধ্যমে। শেষ হয় হাজার বছরের বঞ্চনার ইতিহাস।
ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার সাক্ষর বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এবারও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিজয়ের মাস নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হবে। এই মাসজুড়ে থাকবে নানা অনুষ্ঠান।
বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
/এমএইচ
Leave a reply