নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২০৫ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে দিনের প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ৯৬ রান করতে নেই ৪ উইকেট। তবুও তিনশ ছাড়িয়ে যায় লিড। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ উইকেটের জুটিতে মিরাজ সঙ্গী হিসাবে পান শরিফুলকে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়ে মিরাজ বাড়িয়ে নিতে থাকেন লিড। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ৩৩৮ রানে অলআউট হলে নিউজিল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৩২ রানের।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা শান্ত, এদিন করতে পেরেছেন মাত্র এক রান। ১০৫ রান এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। তাকে ফিরিয়ে কিউইদের সাফল্য এনে দেন টিম সাউদি। ক্রিজে আসেন শাহাদাত হসেন দিপু।

শান্ত ফেরার পরই টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। সাউদির লেন্থ ডেলিভারিতে ব্যাক ফুটে গিয়ে ব্লক করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। এজ হয়ে স্লিপের পাশ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারি লাইনের কাছে। চার না হলেও দুই রান নিয়ে ৭৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

মুশফিককে ভালোই সঙ্গ দিয়েছিলেন দলে নতুন সুযোগ পাওয়া দিপু। তবে ইশ সৌধির স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করে বলের লাইন মিস করেন দিপু। বল প্যাডে আঘাত হানতেই জোরালো আবেদন করে নিউজিল্যান্ড। আম্পায়ারও অনায়াসে আউট দিয়ে দেন তাকে। মুশফিকের সঙ্গে কথা বললেও শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেননি দিপু। ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিপু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা রাঙাতে পারলেন না তিনি। টাইগার ব্যাটারদের দারুণ পরীক্ষা নিয়েছেন কিউই স্পিনাররা।

দিপু ফেরার পর ফিরেছেন মুশফিকও। এজাজ প্যাটেলের ফুলার লেন্থে করা আর্ম ডেলিভারিতে সহজাত ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। তবে বলের লাইনে একেবারেই যেতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বল ও ব্যাটের মাঝে ফাঁকা ছিল অনেকটা। বল প্যাডে আঘাত করার পর আবেদন করতেই মুশফিককে আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৬৭ রানের ইনিংস খেলা মুশফিকের।

সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের শুরু থেকে নড়বড়ে ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৯ রান করা সোহান এবার আউট হয়েছেন ১০ রানে। গ্লেন ফিলিপসের টসড আপ ডেলিভারিতে বোলারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সোহান। তবে প্রত্যাশিতভাবে শটটি খেলতে পারেননি। ফলো থ্রুতে অনায়াসে ক্যাচ লুফে নেন ফিলিপস।

মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল লিড বাড়ানোর। সেটা করতে পারেনি তাদের এই জুটি। লাঞ্চ থেকে ফেরার পর তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইশ সোধির লাফিয়ে উঠা গুগলিতে লেগ সাইডে পুশ করতে চেয়েছিলেন নাঈম। শর্ট লেগে থাকা টম লাথাম ক্যাচ লুফে নিলে ফিরতে হয় তাকে।

পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। এজাজ প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেয়া ফুলার লেন্থ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে থাকা হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের লিড বাড়াতে থাকেন মিরাজ। সেই সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। প্যাটেলের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫ম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ।

মিরাজের হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার ওভারেই অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন শরিফুল। তাতে ৩৩৮ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন এজাজ প্যাটেল। ২টি উইকেট পান ইশ সোধি। এছাড়াও ১টি করে উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি ও গ্লেন ফিলিপস।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply