গত ১ ডিসেম্বর প্রথম প্রীতি ম্যাচে দিয়েছিল ৩ গোল। তিনদিন বাদে আবারও সেই সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের ৮ গোল! জোড়া গোল পেয়েছেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। ফলে দুটো প্রীতি ম্যাচের দুটোতেই অনায়াসে জয় তুলে নিলো সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যরা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোল দিয়েছেন সানজিদা আক্তার, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সুমাইয়া মাতসুশিমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।
এদিন পুরোটা সময় আক্রমণের ঝড় তুলে প্রথমার্ধেই ৩ গোল তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৫ গোলে সিঙ্গাপুরকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দেয় তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমারা।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ একাধিক সুযোগ মিস করে। প্রথম সাফল্য আসে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে। মাসুরা পারভীনের হেড থেকে বল পেয়ে হেড করেই তা জালে পাঠান তহুরা। ঠিক দুই মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা। ২৪ তম মিনিটে আবারও গোল পায় বাংলাদেশ। এবার নিজের জোড়া সম্পন্ন করেন তহুরা। ডি-বক্সের মধ্যে বলে আলগা পা ছুঁইয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি। তবে আফসোসে পুড়তে হয়নি সানজিদার। সাত মিনিট পরেই গোল পেয়ে যান সানজিদা। তহুরার শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সানজিদা। চতুর্থ গোলের ছয় মিনিট পর আবারও লক্ষ্যভেদ ঋতুপর্ণার। এবার সানজিদাই বলের যোগানদাতা। তার পাসে উঁচু শটে সিঙ্গাপুরের জাল কাঁপিয়ে দেন ঋতুপর্ণা। তবে ৬৯তম মিনিটে হ্যাট্রিক মিস করেন তিনি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় তার শটটি।
তবে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা। শেষদিকে আরও তিনবার তাদের গোললাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের শট। ৭৫তম মিনিটে বদলি শামসুন্নাহারের কাছ থেকে বলে পেয়ে গোল করেন সাবিনা। ৮৭তম মিনিটে দারুণ ভলিতে গোলদাতাদের তালিকায় নাম ওঠান আরেক বদলি মাতসুশিমা। আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ঋতুপর্ণার পাসে স্কোরলাইন ৮-০ করেন শামসুন্নাহার।
এর আগে ছয় বছর আগে শেষ দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের। সেবার তাদের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ছয় বছর পর ফের সাক্ষাতে দুটি প্রীতি ম্যাচে মোট ১১ গোল দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
/এমএইচ
Leave a reply