গাজা আবারও চরম বিপর্যস্ত। বাসিন্দাদের নির্দিষ্ট অঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে, সেখানেই জোর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরইমধ্য, বন্ধ উপত্যকার ৭০ শতাংশ হাসপাতাল। নির্মম মৃত্যু থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু-বৃদ্ধ কেউই। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর থেকে দক্ষিণে, দক্ষিণ থেকে আরও দক্ষিণে, এভাবেই এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষদের। ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে পুরো গাজাজুড়ে কেবলই মৃত্যুর মিছিল। বারুদের গন্ধ, বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আর আর্তনাদে আবারও দমবন্ধকর হয়ে উঠেছে গাজার পরিবেশ।
উত্তরে জোরালো হামলা হবে জানিয়ে গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় নেতানিয়াহু প্রসাশন। জীবন বাঁচাতে নিজ ভিটে-মাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দক্ষিণ গাজায় পাড়ি জমায় হাজার হাজার মানুষ। কিন্ত গাজার কোনো এলাকাই এখন আর নিরাপদ নয়।
এদিকে, ইসরায়েলের নির্দেশে খান ইউনিস থেকে রাফায় সরে যান শরণার্থীরা। তবে সেখানেও হামলা চালায় তেল আবিব। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ নির্বিচারে হত্যা করছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। জীবন বাঁচাতে এক শরণার্থী শিবির থেকে আরেকটি ছুঁটে বেড়াচ্ছেন অসহায় এ মানুষগুলো। তবুও মিলছে না একটু নিরাপত্তা। একের পর এক হামলায় পাখির মতো হত্যা করা হচ্ছে নিরস্ত্র মানুষকে।
এছাড়াও ইসরায়েলি বর্বরতায় আবারও বন্ধ হয়ে গেছে উপত্যকার বেশিরভাগ হাসপাতাল। হাসপাতালগুলোতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে শত শত মরদেহ। এতো মরদেহ কবর দেয়া হবে কোথায় তা নিয়েই দেখা দিচ্ছে সংকট।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির পর আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ধ্বংস করেছে অবরুদ্ধ গাজার অর্ধেকের বেশি আবাসিক ভবন।
/এআই
Leave a reply