‘ফ্রেডি’কে হারিয়ে নস্টালজিক সোশ্যাল মিডিয়া, শোকাচ্ছন্ন ৯০’স কিড

|

নব্বইয়ের দশকে ভারতের টেলিভিশন চ্যানেলের সিরিজগুলোর মধ্যে ‘সিআইডি’ ছিল ব্যাপক জনপ্রিয়। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া এই সিরিজের শেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয় ২০১৮ সালে। টানা ২০ বছর হাজারো দর্শকের মনে রহস্যের রোমাঞ্চ জাগিয়ে এসেছে সিরিজটি। এই সিরিজে সিআইডি অফিসার হিসেবে ‘ফ্রেডি’ চরিত্রে ছিলেন অভিনেতা দিনেশ ফাডনিশ। তার হাস্যরসে ভরা অভিনয় গোটা সিরিজে কঠোর রহস্যের জাল ভেদ করে হাসির খোরাক জুগিয়েছে দর্শকদের মনে। তাই ফ্রেডির প্রতি ভালোবাসা অনেকটাই বেশি। আজ সেই ভালোবাসার অভিনেতার মৃত্যু সংবাদে যেন শোকের কালো ছায়ায় ঢেকে গেছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা দিনেশ ফাডসিশ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। কয়েক দিন আগে অসুস্থ হওয়ার ফলে মুম্বইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হৃদরোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন দিনেশ। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানান দিনেশের সহ-অভিনেতা দয়ানন্দ শেট্টি তথা সিআইডি’র আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ‘দয়া’। গতকাল এ অভিনেতা বলেন, হার্ট অ্যাটাক নয়, লিভার জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনেশ।

ভালোবাসার অভিনেতার মৃত্যুতে অনেকেই নস্টালজিক হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন। ছোটবেলাটিকে আরও রঙিন করে তোলার জন্য কেউ কেউ সদ্য প্রয়াত ‘ফ্রেডি’কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ বা তার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার তার বিদেহী আত্মার জন্য শান্তি কামনা করছেন। সকলের কণ্ঠেই এখন শোকের ছায়া।

‘সিআইডি’ ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে চলা সিরিজ। টানা ২০ বছর ধরে সমান জনপ্রিয়তার সাথে চলা এই সিরিজের অন্যান্য জনপ্রিয় চরিত্রগুলো হলো দয়া, অভিজিত ও এসিপি প্রত্যুমান। সিরিজ শেষ হওয়ার দুই দশক পরও মানুষের হৃদয়ে সমানভাবে জনপ্রিয় চরিত্রগুলো। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মিমে এখনও প্রচলিত এসিপি প্রত্যুমানের বিখ্যাত সেই সংলাপ ‘কুছ তো গাড়বাড় হ্যায় দ্যায়া’। সিরিজ শেষ হওয়ার ৫ বছর পর এসেও অভিনেতা দিনেশের মৃত্যুতে যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুষড়ে পড়েছেন ভক্তরা, তা সিরিজটির চরিত্রগুলোর আকাশচুম্বী সফলতাকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply