পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করবে ইরান ও রাশিয়া। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে পারস্পারিক সহায়তা বৃদ্ধিতে একটি চুক্তি সই করেছে দেশ দু’টি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের চাপে রাখতে নিষেধাজ্ঞাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। এসব নিষেধজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় একে অপরকে সহযোগিতার লক্ষ্যে হয়েছে এই চুক্তি। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পরই মস্কোকে থামাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। দিয়েছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমাদের এমন পদক্ষেপকে শুরু থেকেই অনৈতিক বলে আসছে ক্রেমলিন। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের ওপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার খড়খ। ট্রাম্পের আমল থেকেই, পরমাণু পরীক্ষা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন। একই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলোও।
পশ্চিমাদের রোষানলে থাকা ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে রয়েছে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। যুদ্ধে মস্কোকে অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে তেহরানের বিরুদ্ধে। এবার নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব কমাতে একজোট হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করলো দেশ দু’টি। রাশিয়ায় সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানের সাথে এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে একতরফা, জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আমরা ইরানের সাথে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছি। অবশ্যই এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মূলত চুক্তির আওতায় পারস্পারিক সহযোগিতা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে দেশ দু’টি। তবে নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় দেশ দুটি কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা এখনও জানানো হয়নি।
/এআই
Leave a reply