কোনো কারণে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে ক্রেতারা পণ্য নেবে না। টাকা তো দেবেই না, পণ্যও নেবে না— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রামে পোশাক শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। তাতে উঠে আসে, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের এ খাতের বর্তমান প্রেক্ষাপট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা করা শ্রম অধিকার সংক্রান্ত স্মারকের বিষয়ও।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি জানান, পোশাক রফতানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের ক্রেতা শর্ত দিয়েছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কোন ক্রেতা শর্ত দিয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকও কিন্তু এলসি খুলবে না। আমি চ্যালেঞ্জগুলো বলছি। আপনারা বিষয়গুলো বুঝবেন।
ফারুক হাসান বলেন, একদিকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি, সব মিলিয়ে সময়টা কঠিন। টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে। তবে আমরা যদি সময়টা পারতে করি, আশা করি ছয় মাসের মধ্যে ঠিক হয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাকের প্রায় ২০ শতাংশের আমদানিকারক। সম্প্রতি দেশটিতে সামান্য কমেছে রফতানি। বিভিন্ন কারণে চলতি বছর সার্বিকভাবেও কমেছে পোশাক রফতানি।
/এমএন
Leave a reply