কৃত্রিম গুহায় দিন কাটাচ্ছেন গৃহত্যাগী রঞ্জিত রায়। স্থানীয়দের সহায়তায় নীলফামারীতে খনন করা ১০ ফুট গর্তে এবারের শীতকালটা পার করবেন তিনি। মহাদেবের আরাধনায় ১২ বছরের মৌনব্রত ও ধ্যান পালন করাই তার উদ্দেশ্য। মাটির উপরে মাঝেমধ্যে দেখা দিলেও কোনো কথা বলেন না এই সাধু।
দেওনাই নদীর তীরে অদ্ভুত এই সাধুকে দেখা যাচ্ছে কিছুদিন ধরে। স্থানীয়দের কাছে পরিচিত হলেও, আচরণে তিনি অচেনা। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভারতে তীর্থ শেষে নিজ এলাকা নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ফিরে আসেন রঞ্জিত চন্দ্র রায়। দেশে ফিরে কৃষিকাজ ছেড়ে দেন তিনি, ঘর সংসারও ত্যাগ করেন। গৃহত্যাগী সাধু মহাদেবেরের আরাধনায় ১২ বছরের জন্য ধ্যানে বসেছেন রঞ্জিত রায়।
এনিয়ে নীলফামারির ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ১২ বছরের সাধনায় লিপ্ত হয়েছেন এই সাধু। তিনি কারোর সাথে তো কথা বলেনই না, খাওয়া-দাওয়াও অনিয়মিত। আমরা চাই তার এত কষ্টের সাধনা সফল হোক।
শুরুতে আতপ চালের ভাত খেলেও এখন কলা, ভুট্টা ও চালের গুঁড়া, শাকসবজি আর ফলমূল খাদ্য তালিকায় রেখেছেন রঞ্জিত রায়। স্থানীয় ভক্ত আর পরিবারই সাধুর আহার যোগান দেয়।
এরইমধ্যে আশ্রমে রূপ নিয়েছে সাধুর এই জায়গাটি। প্রশাসন সহায়তা নিয়ে পাশে আছে উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী তাকে সাহায্য করা যাবে।
শিবভক্ত রঞ্জিতের তিনটি বছর কেটেছে মাটির উপরে। ধ্যানের বাকি সময়টা তিনি ভূগর্ভে কাটাতে চান।
এসজেড/
Leave a reply