পরিষ্কার করেও বাঁচানো যাচ্ছে না রামচন্দ্রপুর খাল

|

শাকিল হাসান:

ছোট খালের বাঁক। শীতে কমে এসেছে পানি। তবুও পাড় ভেঙে কূল কূল বয়ে চলেছে মৃদু স্রোত। কোথাও জেগে উঠেছে চর। কিন্তু আবর্জনা আর দুর্গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল। অথচ মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির রামচন্দ্রপুর খাল হতে পারতো অন্যরকম। যেখানে কড়ইয়ের ছায়ায় শহুরে বাসিন্দারা নিতে পারতেন স্বস্তির নিশ্বাস।

তা ভেবেই হয়তো মাস দুয়েক আগে খালটি পরিষ্কার করেছিলেন কিছু তরুণ। ফিরে এসেছিল পানি প্রবাহ। কিন্তু কদিন না যেতেই আবারও পুরনো চেহারায় মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল। তাতে বিফলে গেলো তরুণদের সমস্ত পরিশ্রম। আর নোংরা পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা।

স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেন, ময়লা ফেলা বন্ধ করেনি সেখানকার বাসিন্দারা। আর আবর্জনা পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না।

খাল পরিষ্কারের পর সিটি করপোরেশন কথা দিয়েছিল নতুন করে বর্জ্য ফেলা ঠেকাতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর। খাল খনন করে পাড় বাঁধাই করে নতুন করে সাজিয়ে তোলার আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু দুই মাসে কিছুই হয়নি।

ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার বলছেন, খাল পরিষ্কার করবে সিটি করপোরেশন। আর বিল দেবে ওয়াসা। ভালো অঙ্কের একটা বকেয়া জমে গেছে, যে টাকাটা ওয়াসার কাছ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পাবে। তা ক্লিয়ার না হওয়ায় খাল পরিষ্কারের এই কাজটি আটকে গেছে। মেশিনের কাজ হাত দিয়ে করা সম্ভব নয়। এই খালের সব জয়গায় কর্মীরা পৌঁছাতে পারবে না।

এদিকে, খালটির দুরবস্থার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা পড়ছেন নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তবে সবচেয়ে যেটি ভুগাচ্ছে তা হলো দুর্গন্ধ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply