শিক্ষামন্ত্রীর আয় বেড়েছে তিনগুন, কমেছে আরেক সাবেক মন্ত্রীর

|

কাদের পলাশ, চাঁদপুর:

গত পাঁচ বছরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বার্ষিক আয় বেড়েছে তিনগুণ। আর সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বার্ষিক আয় কমেছে প্রায় ১৬ লাখ। অন্যদিকে ৫ বছরে অর্ধকোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলাম। আর মো. সফিকুর রহমানের বার্ষিক আয় বেড়েছে ৮ গুন। এছাড়া স্থাবর সম্পদের হিসাবেও কিছু গরমিল রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, গত ৫ বছরে সম্পদ ও ঋণ দুটোই বেড়েছে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনির। শিক্ষামন্ত্রীর তিনটি ফ্ল্যাটের দাম বর্তমানে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

২০১৮ সালে মাত্র ৩৫ লাখ টাকা দাম দেখানো দু’টি ফ্ল্যাট থেকে ৫ বছরে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৮ সালের নির্বাচনে গাড়ি বাবদ এক্সিম ব্যাংকে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯শ’ ৫ টাকা ঋণ দেখালেও এবার তা বেড়েছে কয়েক গুন। ১ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫শ’ ৪৩ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে হলফনামায়।

সাবেক সংসদ সদস্য ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নির্বাচনী আসন চাঁদপুর-২। গেল পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় কমেছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪শ’ টাকা। নিজের অস্থাবর সম্পত্তি খুব বেশি বাড়েনি। অন্যদিকে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ কমেছে ৬৫ লাখ টাকার মতো।

চাঁদপুর-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। গত ৫ বছরে নৌকার এই প্রার্থীর বার্ষিক আয় বেড়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা।

তবে প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে নগদ টাকার পরিমাণ। ৫ বছর আগে নগদ টাকা ছিলো ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে আছে ২০ লাখ ৭০ হাজার ৫শ’ ৮৬ টাকা। আর গত ৫ বছরে অর্ধকোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

চাঁদপুর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সম্পদ তাদের হতে পারে। কিন্তু সম্পদ গড়ার উৎস কী এগুলো দেখায় বিষয়। এছাড়া আমরা জনসাধারণ যারা আছি, আমার মনে হয় তাদেরও এই বিষয়গুলো ভাবায়।

চাঁদপুর-৪ আসনে নৌকার আরেক প্রার্থী মো. সফিকুর রহমান। ৫ বছরে তার বার্ষিক আয় ৮ গুন বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ২শ ৪৭ টাকা। যা পাঁচ বছর আগে ছিলো কেবল ২৩ লাখ ৮ হাজার ৪শ’ ৮৩ টাকা।

পাশাপাশি স্থাবর সম্পদে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। যেখানে গেল ২০১৮ সালে ৫ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা ভবনের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ৭শ’ ২৭ টাকা।

পাঁচ বছরে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে জমিসহ ভবনের দাম ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৪শ’ ২৭। অর্থাৎ সম্পদের মূল্য বেড়েছে মাত্র ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭শ’।

চাঁদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি পীযূষ কান্তি বড়ুয়া এ বিষয়ে বলেন, সম্পদের একটা বিস্তর ফারাক আছে। আমরা যেটা মনে করি, যে তার হাজার হাজার কোটি টাকা কিন্তু হলফনামায় দেখানো হয় মাত্র অল্পকিছু টাকার সম্পদ। সেক্ষেত্রে এগুলো মেনে নেওয়াও আমাদের জন্য কঠিন।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply