মঙ্গলবার থেকে ফের অবরোধ কর্মসূচি বিএনপির

|

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ১ দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবারও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপির ওপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। বলেন ‘জালিয়াতি, সিলেকশান ও প্রহসনের ইলেকশন’ মানে না জনগণ। ভয় ভীতি, গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে জনগণ রাজপথে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিজেদের মতো করে করার জন্য এক ধরনের কবরের নিস্তব্ধতা বজায় রাখাতে চাচ্ছে সরকার। আর এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী গণহারে গ্রেফতার চালাচ্ছে দলটি। ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই আওয়ামী লীগ এমন করছে বলে মন্তব্য করেন এই নেতা। নির্বাচনে ভোটারের দরকার নেই বরং ক্ষমতাসীনদের একটি ভয়-ভীতি পরিস্থিতির দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্রকামী বিশ্ব চিনতে পেরেছে যে, কত দুর্বিষহ স্বৈরাচার জনগণের কাঁধের ওপর চেপে বসেছে।

জাতিসংঘকে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলুন, তিনি যখন বিরোধী দলের নেত্রী থাকেন তখন বিদেশিরা আপনার কাছে ভালো থাকে। নিজেকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য উনি সবকিছু করতে পারেন। এখন বিদেশিরা বাংলাদেশে যখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছেন, তখন আওয়ামী লীগের গা জ্বলে যাচ্ছে। নিজের স্বার্থে বিদেশিদের সাথে কথা বলতে পারে ক্ষমতাসীন দল।

পৃথিবীতে আর কোনো স্বৈরশাসক এমন নৈতিক অনাচার করেছে বলে জানা নেই বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

এএস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply