মিরপুরের উইকেটকে খারাপ বলতে নারাজ প্রধান নির্বাচক

|

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টিং উইকেট সিলেট টেস্টের পর কেন মিরপুরে স্পিন ফাঁদ? এমন উইকেটে খেলে কতটা লাভ হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের-সেই বিতর্কও আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য উইকেটের উপয় দায় চাপাতে নারাজ। বলছেন- এমন কন্ডিশনে কিভাবে খেলতে হয় সেটাও শিখতে হবে।

২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজ জয়ের সুভাষ পাচ্ছিলো নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। তবে মিরপুরে স্পিন সহায়ক পিচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের হারে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়য় টাইগারদের। তবে টেস্ট সিরিজের ফল ছাপিয়ে মিরপুরের উইকেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে শিরোনাম। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি তো জয়ের পরও মিরপুরের উইকেটকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে উইকেটও অ্যাখ্যা দিয়েছেন। যদিও নাজমুল হোসেন শান্তর অবস্থান ছিলো একদম ভিন্ন।

এমন উইকেটে খেলে তৈরী হয়ে আসার কথাটা ভুল কিছু না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এমন উইকেটে কি শান্তরা খেলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে? যখন সিলেটে দারুণ এক উইকেটে পুর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ড হারাতে পারলো তখন কেন আবার পেছনে হাঁটা? প্রধান নির্বাচক অবশ্য ব্যাখ্যাটা দিলেন ভিন্নভাবে।

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, উইকেট নিয়ে এতো চিন্তা নাই। নিউজিল্যান্ডও তো এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত না। শেষের দিকে তারা কিন্তু উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে। তাই এমন মানসিকতা থাকা উচিৎ। সব ভেন্যুতে একইরকম উইকেট পাওয়া যায় না।

এই উইকেটে প্রাপ্তিই বা কি? তাইজুল-মিরাজদের দাপট দেখানো তো স্বাভাবিক। কিন্তু কোন ব্যাটারেই লড়াই করার মত স্কোর গড়তে পারেননি। টি২০ মেজাজে দ্রুত রান করার কৌশলও ব্যর্থ। আর সফল হলেও কি কোন প্রাপ্তি থাকতো? সব জানার পরো কেন তাহলে এমন উইকেট বানানো?

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, একটা জিনিস পরিস্কার যে, এই উইকেটে ব্যাটিং করা খুভ কঠিন। কিন্তু আরেকটি দিক হচ্ছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা আছে। তাই এখানে হার জিতেরও ব্যাপার আছে। তাই সবকিছুই মিলিয়ে আগাতে হবে।

ঘরের মাঠের সুবিধা সব দলেই নিতে চায়। কিন্তু এমন উইকেট কি শান্তদের ঘরের মাঠের সুবিধা কী দিচ্ছে? কেননা যে উইকেটে মুমিনুল-মুশফিকরাই খাবি খাচ্ছে তা কিভাবে ঘরের মাঠের সুবিধা হয়।

সমালোকরা বলছেন এই টেস্ট জিতলেও তার ফল হতো সাময়িক। ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম তাই তো এমন উইকেটে বানিয়ে জয়ের পরিকল্পনাকে দেখেন সমস্যার সহজ সমাধান হিসেবে। যা আদতে কোন লাভ আনে না। তাই তো তাঁর আহবান নতুন করে ভাবার। কিন্তু থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ঘুম ভাঙাবে কে?

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply