গাজা পরিস্থিতিকে ‘ব্যঙ্গ’ করার অভিযোগ, বিশ্বজুড়ে ‘জারা’র বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক

|

পশ্চিমা জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘জারা’কে বয়কটের জোয়ার উঠেছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন সমর্থকরা এই ব্র্যান্ডের সকল পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ‘জারা’র বিরুদ্ধে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া, এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনও শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, কেনো তুমুল জনপ্রিয় এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত বিশ্ববাসী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

মূলত, জারার বিরুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলের চলমান অমানবিক ও নৃশংসতাকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন শীতকালীন পোশাকের মার্কেটিংয়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফও প্রকাশ করা হয় জারার ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। আর সেই ছবি দেখেই ফুঁসে ওঠে বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ফিলিস্তিন সমর্থকরা।

জারার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, নির্দিষ্ট ওই পোশাক পরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মডেলের চারপাশে সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে একাধিক মৃতদেহ সদৃশ ডামি পুতুল বা ম্যানিকুইন। সেই সাথে বিভিন্ন অবকাঠামোর ধ্বংসাবশেষও দেখা যায়। এমনটি একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো ম্যানিকুইন কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় ওই মডেলকে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, ছবিগুলো স্পষ্টতই গাজা সহিংসতার ধ্বংসযজ্ঞ এবং ডামি পুতুলগুলো দেখে ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাধারণ মানুষের কাফনে মোড়ানো মরদেহকেই নির্দেশ করে। আর জারা এই নৃশংসতা নিয়ে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যেই এই ধনের ছবি প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ তাদের। এর ফলে জারা ব্র্যান্ডকে বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।

এদিকে, বিতর্কের মুখে ওই সব ছবি সরিয়ে নিয়েছে জারার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। গাজার যুদ্ধ শুরু হয়, গত অক্টোবরে। অথচ এই ফটোগ্রাফির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল গত জুলাইয়ে, ছবি ধারণ করা হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ফটোগ্রাফির থিম ছিল, অসমাপ্ত ভাস্কর্য। অথচ গোটা বিষয়কে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তুলে ধরা হচ্ছে জানিয়েছে জারা কর্তৃপক্ষ।

তবে জারার এ স্বীকারোক্তি মানতে নারাজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তাদের দাবি, এমন একটি স্পর্শকাতর সময়ে এই ধরনের ছবি প্রকাশ করলে বিতর্ক তৈরি হতে পারে, সেটি আগেই বোঝা উচিত ছিল ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্টদের। ইচ্ছা করেই কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply