স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

|

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে গর্বিত বিজয়ের হাত ধরে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা। কিন্তু জাতিকে পঙ্গু করে দিতে বিজয়ের ৪৮ ঘণ্টা আগে পাক হানাদার বাহিনী এবং এ দেশে তাদের দোসররা মিলে হত্যা করে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। পরবর্তীতে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ মেলে ঢাকার রায়ের বাজারে। সেখানেই তাদের স্মরণে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ।

জাতির সেই সন্তানদের অবদান ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। কিন্তু এতদিন এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন না করায় সমালোচনা ছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তবে, দেরিতে হলেও এটিকে গৌরব ও সম্মানের বলে মনে করেন শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। তারা এ সিদ্ধান্তকে জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ-ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য হিসেবে দেখছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজউদ্দীন হোসেনের সন্তান জাহিদ রেজা নূর বলেন, তালিকা ধরে ধরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। এই দিনটিতে আমাদের যে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছে, এটার একটা স্বীকৃতি থাকতে হয়। এতদিন পরেও যদি এটি হয়ে থাকে, তাহলেও এটি একটি ইতিবাচক ঘটনা। আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি।

জাতির সেই সূর্য সন্তানদের জ্বেলে যাওয়া আলোর মশাল এগিয়ে নিতে হবে বহুদূর, এমন প্রত্যাশার কথাও জানায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবার।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply