গাজাজুড়ে আগ্রাসনের পাশাপাশি নানা বিতর্কিত কাণ্ডের জন্ম দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ইসরায়েলের সেনারা। বর্ণবাদী আচরণসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও অনেক বিকৃত আচরণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। বাধ্য হয়ে, অভিযুক্ত সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি সামরিক বাহিনী আইডিএফ। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম লস এঞ্জেলেস টাইমস এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাতে অস্ত্র নিয়ে নাচতে নাচতেই দিচ্ছে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে বর্ণাবাদী নানা আপত্তিকার স্লোগান। যুদ্ধের ময়দানে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। যার বেশকয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
গাজার সকল ফিলিস্তিনিদের ওপর যেন তীব্র ক্ষোভ ইসরায়েলি সেনাদের। ভিডিওগুলোতে, তাদের আচরণে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। কেউ কেউ ঢুকে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের শোবার ঘরে, চালাচ্ছে তাণ্ডব। আবার কেউ সুপার শপে ঢুকে ভেঙে ফেলছে শিশুদের খেলনা, নষ্ট করছে খাবার। ইসরায়েলি সেনাদের এমন বিকৃত আচরণে উঠেছে নিন্দার ঝড়।
এমনিতেই গাজাজুড়ে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে বিশ্ববাসীর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। বেসামরিকদের ওপর বর্বরতা চালানোর কারণে মিত্র অনেক দেশের সমর্থনও হারিয়েছে তেলআবিব। এরমধ্যেই, এসব বিতর্কিত ভিডিও নতুন করে চাপে ফেলেছে রাষ্ট্রটিকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনিদের সাথে এমন আচরণকে চূড়ান্ত বর্বরতা বলছে আন্তর্জাতিক মহল।
ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। সেনাদের যুদ্ধের ময়দানে নৈতিকতা মেনে লড়াই করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, আমি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি বিতর্কিত ইস্যুর বিষয়ে বলতে চাই, ইসরায়েলি সেনারা আইডিএফের মূল্যবোধ এবং চেতনা অনুযায়ী কাজ করে। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের পেশাগত ও নৈতিকভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো আপস করব না। আইডিএফের চেতনার সাথে যায় না এমন কোনো কাজ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্য, ইসরায়েলি সেনাদের এমন বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ নতুন নয়। এর আগেও, বহুবার বিতর্কিত কাণ্ডের কারণে আলোচনায় এসেছে দেশটির সামরিক বাহিনীর বহু সদস্য।
/এআই
Leave a reply