অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে টাইগারদের বোলিং তোপে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে ভারতের যুবারা। ফলে ফাইনালে ওঠার জন্য ৫০ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৮৯ রান।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি ওভালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে দলীয় ১৩ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এরপর প্রিয়াংশু ও শচিন মিলে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন রোহানাত বর্ষন। ২২ বলে ১৬ রান করা শচিন দাসকে বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও আঘাত হানেন বর্ষন। তুলে নেন প্রিয়াংশুর উইকেট। এক বল পরেই আরেক ভারতীয় ব্যাটার আরভেলি আভানিসকে রান আউটের ফাঁদে ফেলে আউট করেন টাইগার অধিনায়ক। ফলে দলীয় ৬১ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে ভারত।
তবে এরপর চাপ সামলে ৮৪ রানের একটি জুটি গড়েন ভারতীয় ব্যাটার মুশির ও মুরুগান। ৬০ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশির। তবে তাকে ইনিংস লম্বা করার সুযোগ দেননি অধিনায়ক মাহফুজুর। ৫০ রানেই ফেরান তাকে।
মুশিরের বিদায়ের পরে ক্রিজে আসা অন্য ব্যাটার সাওমি পান্ডেও দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে। ১ রানেই ফিরে যান সাজঘরে। কিন্তু অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মুরুগান অভিসেক। ৬৪ বলেই ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করেন তিনি।
তবে ৬২ রান করে মারুফের বলে আউট হয়ে যান মুরুগান। শেষ ব্যাটার হিসেবে নামা তেওয়ারি ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ফলে ৪২ দশমিক ৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন বর্ষন ও পারভেজ জীবন। একটি উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক রাব্বি। বাকি একটি রান আউট।
/এমএইচ
Leave a reply