ফ্রি ফায়ার খেলা নিয়ে বিরোধ, বন্ধুকে হত্যা করে অপহরণের নাটক কিশোরের

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরিয়ে দিয়েছে কিশোর আবদুল্লাহর খুনিকে। খুনি আর কেউ নয়, স্বয়ং আবদুল্লাহর বন্ধু। ছেলেকে বাঁচাতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন হত্যাকারী হাসানের মাও। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মা-ছেলে।

গত ১৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয় কিশোর আবদুল্লাহ। তবে সিসিটিভি ফুটেজে নিখোঁজ হওয়ার আগে আবদুল্লাহকে কালো জ্যাকেট পরিহিত হাসানের সাথে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এই সূত্র ধরে হত্যা রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। আনোয়ারা থেকে হাসানকে এবং ইপিজেড থেকে তার মা হাফিজাকে আটক করা হয়। আটকের পর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তারা।

মূলত, একই মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়েই বন্ধুর হাতে খুন হতে হয় আব্দুল্লাহকে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহকে সজোরে ঘুষি দেয় হাসান। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় আব্দুল্লাহ। বিষয়টি বুঝতে পেরে ছেলেকে বাঁচাতে আব্দুল্লাহর মরদেহ বস্তাবন্দি করে হাসানের মা। পরে হাসান ও তার মা মিলে মরদেহ বাইরে ফেলে দেয়া গয়। পরে ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির নাটক সাজানো হয়।

এ বিষয়ে সিএমপি ডিবির (বন্দর ও পশ্চিম) ডিসি মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ক্রাইম পেট্রোল এবং এই ধরনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে হাসানের মাথায় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার এ চিন্তা আসে। নিহতের পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করে তারা। মূলত টাকা আদায় করাটা তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল টাকার কথা বলে আবদুল্লাহর পরিবারকে ব্যস্ত রেখে পালিয়ে যাওয়া।

হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কেউ জড়িত কিনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবারের।

প্রসঙ্গত, বরিশালের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক বাবা-মার কাছে বেড়াতে এসেছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয় সে। পরে বৃহস্পতিবার তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এএস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply