গাজায় অভিযানের সময় হামাসের হাতে বন্দি তিন জিম্মিকে ভুলবশত হত্যা করার কথা স্বীকার করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ১৫ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে এই ‘ভুলবশত হত্যা’র কথা স্বীকার করে তারা। তবে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানানো হয়নি। অবশেষে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ইসরায়েলের এক সেনাসদস্য ফাঁস করলেন গোটা ঘটনা। আর এতে আরও স্পষ্ট হলো ইহুদি বাহিনীর বর্বরতার দৃশ্য। খবর সিএনএন এর।
নিহত ৩ ইসরায়েলি ছিলেন গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি। গত ১৫ ডিসেম্বর গাজার ওই স্থানে অভিযান চালায় আইডিএফ। এ সময় একটি ভবন থেকে সাদা পতাকা ওড়াতে ওড়াতে খালি গায়ে বেরিয়ে আসেন ওই ৩ ইসরায়েলি। তাদের মধ্যে একজন লাঠির সাথে সাদা কাপড় বাঁধা অবস্থায় ধরে ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য প্রকাশ করা ওই ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেন, এ সময় সেনাবাহিনীর সাথে ওই তিন ইসরায়েলিদের দূরত্ব ছিল ১০ মিটারের মতো। তাদের হাতে কোনো অস্ত্র না থাকলেও তৎক্ষণাৎ তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বিচারে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সেনা সদস্যরা। এতে দু’জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একজন আহত হয়ে ফের ভবনের ভেতর ঢুকে যান।
এসময় তাকে হিব্রু ভাষায় আর্তনাদ করতে শুনে গুলি থামানোর নির্দেশ দেন কমান্ডার। পরে আহত অবস্থায় আবার ওই জিম্মি সামনে আসলে ফের তাকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনাকে সামরিক নিয়মবহির্ভূত বলেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে শুরু হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত।
গত ৭ অক্টোবরের হামলা প্রতিরোধ করা ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু প্রশাসনের ব্যর্থতায় এমনিতেই চাপে ছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে ৩ জিম্মি মৃত্যুর ঘটনায় আরও চাপে পড়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তবে এ ঘটনা ইসরায়েলের সরকার বা সেনাবাহিনীতে বড় কোনো পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এসজেড/
Leave a reply