জামালপুর করেসপন্ডেন্ট:
জামালপুরের মাদারগঞ্জে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী জামাই মেলা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পলাশপুর বাজার মাঠে শুরু হওয়া মেলা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামটিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে হাজারও মানুষ আসছেন সেখানে।
রোববার মেলার দ্বিতীয় দিনে দেখা গেছে, জামাই মেলায় বিভিন্ন ধরনের ৩০০টি দোকান বসেছে। এরমধ্যেই একপাশে সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে রয়েছে বোয়াল, কাতল, বাগাড়, আইড়, চিতলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। সেসব মাছের ওজন ৫ থেকে ২০ কেজি বা তারও বেশি। মাছের পাশাপাশি মেলায় বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের মিষ্টিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
জামাই মেলার মূল চরিত্র ‘জামাই’। জামাইদের দাওয়াত করে শ্বশুরের বাড়ি আনা হয়। জামাতারা মেলা থেকে বড় বড় মাছ কিনে আনেন শ্বশুরবাড়ি জন্য। আবার জামাইকে মেলায় কেনাকাটার জন্য শশুর-শাশুড়ি টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে কেনাকাটা করে শ্বশুর বাড়ি যান জামাইরা। গত দু’বছর ধরে স্থানীয়দের উদ্যোগে ‘জামাই মেলা’ আয়োজন হয়ে আসছে।
মেলার আয়োজকরা বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য আত্মীয়-স্বজনদের সম্পর্ক আরও গভীর করা। মেলা উপলক্ষে এলাকার লোকজন তাদের আত্মীয়-স্বজন ও মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে আনেন। জামাই মেলা থেকে জামাইরা কেনাকাটা করে শ্বশুর বাড়ি যান।
মেলায় ঘুরতে আসা মো. মেহেদী নামে একজন বলেন, এই মেলার মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের সম্পর্ক আরও সুন্দর এবং গভীর হবে। জামাইকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি কেনাকাটা করার জন্য। মেলা উপলক্ষে কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের মেয়ে জামাইকে দাওয়াত করে এনেছে।
আবদুল বারিক নামের আরেকজন বলেন, শ্বশুরের দাওয়াতে এসেছি। মেলায় আসার আগে শ্বশুর হাজার টাকা দিয়েছে। এ সময় শাশুড়ি লুকিয়ে আরও কিছু টাকা দিয়েছে। মেলা থেকে একটি বড় মাছ ও পান সুপারি কিনেছি। শালিকার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ে যাচ্ছি।
মেলার শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম বলেন, প্রথম দিন থেকেই মেলায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । আমরা সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করছি।
/এনকে
Leave a reply