বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, নাকচ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ছবি: তাস

নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। খবর রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের।

রুশ কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে তাস বলেছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১২-১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারবিরোধীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা এসব ঘটনার সঙ্গে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনগুলোর, বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক লক্ষ করছি।

আগামী কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমারা চাপ বাড়াবে বলেও শঙ্কা রাশিয়ার। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। দেশের মূল শিল্প খাতগুলোও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, কোনো প্রমাণ ছাড়াই অনেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে দাবি করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাখারোভা।

যদিও মারিয়া জাখারোভার এমন বক্তব্য পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একটি সেমিনার শেষে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরব বসন্ত ঘটার কোনো সুযোগ নেই। আমার নিশ্চয়ই মনে হয় না, এ ধরনের কোনো সুযোগ আছে। কারণ, আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার কারণে আমাদের দেশে গণতন্ত্রটা সমুন্নত আছে। আর আমরা ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে আত্মাহুতি দেন তিউনিসিয়ার ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি। সেই ঘটনা থেকে জন্ম হয় আরব বসন্তের। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের আত্মাহুতির খবর সারা দেশে বিদ্যুতের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তিউনিসিয়ার মানুষ রাজপথে নামে। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলী। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বেন আলীর শাসনামলের ইতি ঘটে। তিউনিসিয়ার বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন থাকা শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে বাহরাইন, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply