প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে ২১১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাবে ব্যাটে নেমে ২৬ বছর বয়সী ওপেনার ডি জর্জের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের বিশাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) গকেবেরহা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আগে ব্যাট করতে নেমে সাই সুদর্শন ও লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটির পরও প্রোটিয়া পেসার নান্দ্রে বার্গারের বোলিং তোপে ২২ বল বাকি থাকতেই ২১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
২১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২২ বলে ১১৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন এর আগে মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার ডি জর্জি। তার সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছেন গত ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া হেনড্রিকস। ৮১ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি। এরপরে ক্রিজে আসা রাসি ফন ডার ডুসেন করেন ৩৬ রান। তবে জয়ের জন্য ৬ রান বাকি থাকতে আউট হয়ে যান তিনি। তবে এর ফলে ম্যাচ জয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি প্রোটিয়া শিবিরে। ৮ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত ডি জর্জি ও অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। বার্গারের করা ইনিংসের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকেন তিলক ভার্মা।
দলীয় ৪৬ রানে বার্গারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটার তিলক। ৩০ বলে ১০ রান করেন তিনি। দুই উইকেটের ধাক্কা ভারত কাটিয়ে ওঠে সাই সুদর্শন ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের জুটিতে। দু’জনে মিলে গড়েন ৯১ বলে ৬৮ রানের জুটি।
ব্যক্তিগত ৬২ রান করে সুদর্শন আউট হলে অধিনায়ক রাহুল আবারও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাঞ্জু স্যামসন ও রিংকু সিং সেই প্রচেষ্টার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। মিডল অর্ডারে এসে ভারত যেন একেবারে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। আর তার প্রভাব পড়ে রানের ওপরে। শেষ দিকে আর্শদ্বীপ সিংয়ের ১৮ রানে দুইশো পেরোতে পারে রাহুলের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নান্দ্রে বার্গার। দুইটি করে উইকেট নেন কেশভ মহারাজ ও হেনড্রিকস। বাকি দুইটি উইকেট নেন লিজাড উইলিয়ামস ও অধিনায়ক মার্করাম। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।
/এমএইচ
Leave a reply