ইউরোপে রফতানি পণ্য পরিবহনে দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা। লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলায় বাড়ছে উদ্বেগ। জাহাজ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে; এতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, পণ্য পরিবহনে বাধার সৃষ্টি হলে বাজার হারানোর শঙ্কা আছে। বিশ্লেষকদের পরামর্শ, বৈশ্বিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা দরকার।
এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে সুয়েজ খাল। সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই পথের অবদান অনেক। কিন্তু যুদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা এবং রেষারেষিতে ক্রমেই অনিরাপদ হচ্ছে উঠছে এই নৌ পথ। বিশ্বের পাঁচটি বড় কনটেইনারবাহী জাহাজের মধ্যে চারটিই লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এমন অবস্থায় প্রস্তুতকৃত পণ্য ইইউর বাজারে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উদ্যোক্তারা। এই নৌ পথে পণ্য চলাচলে বাধার সৃষ্টি করা হলে থমকে যেতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রফতানি।
বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সময় বেড়ে যাচ্ছে, ফলে তাদের হাতে পণ্য যেতে আরও ৮-১০ দিন বেশি সময় লাগবে। ভিন্ন পথে যখন পণ্য যাবে তখন, স্বাভাবিকভাবেই সময় বেশি যাবে। দুইদিক থেকে এটা আক্রান্ত হবে। ফলে এর একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তো হবেই।
শ্রম ইস্যুতে টানাপোড়েনের মধ্যে রফতানি কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে। পণ্য উৎপাদন এবং বাজার ধরে রাখা নিয়েও আছে চ্যালেঞ্জ। এমন অবস্থায় চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ভাবনার বিষয়।
অর্থনীতি বিশ্লেষক প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ বলেন, সরবরাহে যদি প্রতিবন্ধকতা হয়, তবে ইউরোপের যারা ক্রেতা আছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের রফতানিকারকেরা তো হবেই। আমাদের মূলত বৈদেশিক আয় অর্থাৎ রিজার্ভে যে ভূমিকা রাখে তা সচল রাখতে হবে।
বিকল্প পথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনে বাড়বে ব্যয়, এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানো শঙ্কা আছে।
বিশেষজ্ঞদের মত, নৌ পথের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।
এটিএম/
Leave a reply