পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
কখনও হিমেল বাতাস, কখনও সূর্যের লুকোচুরি, কখনও কনকনে শীত আবার সন্ধ্যার পর শিশির বিন্দু। এমন পরিবেশ বিরাজ করছে দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ে। এ জেলা থেকে হিমালয়ের অবস্থান খুব কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছরের শীতকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে এই জেলায়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে এ বছরও। টানা ৬ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। আজ বৃহস্পতিবারও (২১ ডিসেম্বর) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা সারা দেশে সর্বনিম্ন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় এখানে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় এই জেলায় রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, এমন আবহাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরে সূর্যের রোদ ছড়ালেও হাড়কাপা শীতের দাপট কমেনি। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডায় কাবু এখানকার মানুষ।
অবশ্য শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তীব্র শীতেই পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে। অপরদিকে, শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। চিকিৎসকরা শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলের পর হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিকহারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
এসজেড/
Leave a reply