২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কারণ নিজের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইনি। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি। বাংলাদেশ বিক্রি করে যে রাজনীতি করতে হয়, সে রাজনীতি আমি করি না। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, রাঙ্গামাটি, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটার নির্বাচনী সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল, আবারও তাই শুরু করেছে। রেলে আগুন দিচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে।
বিএনপি’র নেতা কে, এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দলটির শীর্ষ দু’জনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ভাই-বোনের রিকোয়েস্টে (অনুরোধে) খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সরকার এ ক্ষেত্রে মানবিকতা দেখিয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না। তারা সন্ত্রাসী দল। আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের। এদের থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান বিদেশ থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, যারা আগুন দিচ্ছেন, মানুষ হত্যা করছেন, পাপের ভাগিদার তারাই হবেন। ও (তারেক) তো ওখানে জুয়া খেলে ভালোই আছে। ও হুকুম দেয়, আর এখানে বিএনপি কর্মীরা নাচেন। সাহস থাকলে দেশে আসার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের মানুষ এসব হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাই সব প্রার্থীকে জনগণের কাছে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট চান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
/এমএমএইচ
Leave a reply