অল্প সময়ে ভাত রান্নার টোটকা হিসেবে অনেকেই চাল চুলায় চড়ানোর আধা ঘণ্টা আগে থেকে চাল ভিজিয়ে রাখেন। তারপর সেই পানি ফেলে দিয়ে আরও বার দুয়েক চাল ধুয়ে তবেই হাঁড়িতে চাপান। তবে এর ফলে চালের মধ্যে থাকা জরুরি অনেক উপাদান পানির সাথেই বেরিয়ে যায়। অথচ চাল ভেজানো বা চাল ধোয়া এই পানির গুণ অনেক।
চীন, জাপান ও কোরিয়ার মতো দেশে এই চাল ধোয়া পানি দিয়ে রূপচর্চা অনেক পুরনো পন্থা। এমনকি চাল ভেজানো পানি দিয়ে নানা রকম প্রসাধনীও তৈরি করা হয় সেসব দেশে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শুধু রূপচর্চা নয়, শরীর ভালো রাখতেও চাল ভেজানো পানির ভূমিকা রয়েছে।
চলুন এবার জেনে নিই, চাল ধোয়া পানি ফেলে না দিয়ে তা কী কী কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন..
১) ত্বকের যত্নে
প্রয়োজনীয় নানা রকম ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর চালের পানি দিয়ে ত্বকের যত্ন নেন চীন, জাপান এবং কোরিয়ার মানুষ। সেই টোটকা বাংলাদেশেও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে গোলাপ জলের সঙ্গে চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করা যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে টোনার হিসেবেও স্প্রে করে নেয়া যায় চাল ধোয়া পানি। এছাড়া চাল ধোয়া পানির সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুলেও চুলের জেল্লা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চুল ঝলমলেও হয়।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজন নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা, ডায়েট করছেন অনেকে। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে চাল ধোয়া পানি। সামান্য ছেঁকে নিয়মিত চাল ধোয়া পানি পান করলে বিপাকহার ভালো হবে, মেদও ঝরবে তাড়াতাড়ি। এই পানীয়ে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। বাজারে চলতি নানা ধরনের পানীয়ে কৃত্রিম চিনি থাকে। বদলে চাল ধোয়া পানি দিয়ে পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই।
৩) হজমে এটি সহায়ক
চালের মধ্যে রয়েছে স্টার্চ। চাল ভেজানো পানির মধ্যেও সেই স্টার্চ থাকে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, পেটের গোলমাল কিংবা ডায়েরিয়া হলে একগ্লাস চাল ধোয়া পানি খাওয়া যেতেই পারে।
এসজেড/
Leave a reply