রাশিয়ার সাথে সমানে হামলা-পাল্টা হামলা চলছে ইউক্রেনের। তবে এখন আরেক সমস্যার মুখোমুখি রাশিয়া-ইউক্রেন দু’পক্ষের সেনা দল। রণক্ষেত্রে এখন তাদের আরেক ‘প্রতিপক্ষ’ ইঁদুর। প্রাণিগুলোর উৎপাতে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র। লাখ লাখ ইঁদুরে ছেয়ে গেছে দেশটির পূর্বাঞ্চল। সেনাদের জুতা, এমনকি অস্ত্রের মধ্যেও আস্তানা করছে প্রাণিগুলো। এসব ইঁদুরের আকারও অস্বাভাবিক। কোনোটি আকার আবার একে-৪৭ রাইফেলেরও সমান। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সম্প্রতি ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জানিয়েছে এ তথ্য। তাদের দাবি, এ বছর ইউক্রেনে অস্বাভাবিকহারে বংশ বিস্তার করেছে ইঁদুর। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে তারা আশ্রয় নিচ্ছে সেনা ঘাঁটি, ট্যাংক এমনকি অস্ত্রের ভেতরও। উপদ্রবে বিকল হয়ে পড়ছে সামরিক সরঞ্জাম। ইঁদুর বাহিত নানা রোগেরও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
ট্যাংকের ফাঁক-ফোকড় থেকে শুরু করে সেনাদের আবাস স্থল এমনকি অস্ত্র-পাতির ভেতরও ঢুকে বসে আছে ইঁদুরের দল। অবিশ্বাস্য হলেও কোনো কোনো ইঁদুরের আকার একে-৪৭ রাইফেলের সমান বলে জানাচ্ছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। ইঁদুরের অসহনীয় উৎপাত রীতিমত ভীতি ছড়াচ্ছে সেনাদের মধ্যে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শরৎকালের উষ্ণ আবহাওয়া এবং জমিতে পড়ে থাকা খাবার ইঁদুরের বংশবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এখন শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে প্রাণিগুলো। ইঁদুরের উপদ্রবে তারের মাধ্যমে চলা যুদ্ধ সরঞ্জামগুলোও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
একেতো তীব্র ঠান্ডায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন। এর ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ইঁদুরের উপদ্রব। অস্ত্র ছাড়াও বিকল হচ্ছে হিটার, ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। নষ্ট করছে মজুত করা খাবারও। ফলে তীব্র শীতে সেনাদের অবস্থান আরও নাজুক হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, খারকিভে রুশ সেনাদের মধ্যে ব্যাপকহারে ইঁদুরবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জ্বর, বমি, রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া, মাথাব্যাথাসহ নানাবিধ অসুস্থতায় ভুগছে তারা।ইঁদুর থেকে সংক্রমিত হওয়া হান্টা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের শরীরে। যদিও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি পুতিন প্রশাসন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে একই এলাকায় এমন ঘটনাই ঘটেছিলো বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
এসজেড/
Leave a reply