সরকারের এক মন্ত্রীর বিদেশে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে, তার নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শিরোনামে টিআইবির এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তুলে ধরেন গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি হলফনামায় এ তথ্য গোপন করে গেছেন। সেই মন্ত্রীর নাম কী, এমন প্রশ্নে তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায় টিআইবি। তবে, সরকারের কোনো সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চাইলে তথ্যপ্রমাণসহ তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
টিআইবি জানায়, এবারের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে। প্রার্থীদের ৫৭১ জনই কোটিপতি। ভোটের লড়াইয়ে নামা শীর্ষ ১০ ঋণ ও দায়গ্রস্ত প্রার্থীর অর্ধেকই আওয়ামী লীগের। বাকিরা স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ৪৯ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। বছরে এক কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতি নির্বাচনেই।
জানানো হয়, জমির মালিকানা সর্বোচ্চ ২০ একর হলেও হলফনামায় দেখা যায়, চার জন প্রার্থীর কৃষি-অকৃষি জমি সাড়ে পাঁচশ একরেরও বেশি। নারী প্রার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও এবারের নির্বাচনে ইতিহাসের সবোর্চ্চ ১১১ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
/এমএমএইচ
Leave a reply