সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে শঙ্কা জানিয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি পাঠিয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর তিনি এই চিঠি পাঠান। যার বিষয় ছিল কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে শঙ্কা প্রসঙ্গে।
চিঠিতে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমকে অভিযুক্ত করে ইবরাহিম লেখেন, বিগত ৫ বছরে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রমে পরিণত করা হয়েছে। যার মদদদাতা হিসেবে জাফর আলমের দিকেই আঙুল তোলেন ইবরাহিম।
তিনি বলেন, জাফর আলম সন্ত্রাসীদেরকে রাজনৈতিক দলীয় পদে বসিয়েছেন। এছাড়াও অভিযোগ করেন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদেরকে জনপ্রতিনিধি বানানোর।
ইবরাহিম অভিযোগ করেন, নির্বাচনে জাফরকে ভোট দেয়ার জন্য তার মদদপুষ্ট জনপ্রতিনিধি (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান) ও দলীয় রাজনৈতিক পদধারী সন্ত্রাসীরা কল্যাণ পার্টির কর্মী ও সমর্থকদের নিয়মিত ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করছে। এসব সন্ত্রাসীরাই আবার বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে ও অভিযোগ করছে।
চিঠিতে তিনি বলেন, এতে আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি নামধারী অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ইবরাহিম।
সৈয়দ ইবরাহিম ওই চিঠিতে অভিযুক্তদের একটি তালিকাও সংঘুক্ত করে পাঠান। যাদের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে সিইসি বরাবর আবেদন জানায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৭ জন জনপ্রতিনিধি। তারা সবাই বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের সমর্থক বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সবাই এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের পক্ষের লোক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনটি পৌঁছে দেন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম ও পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোছাইন। আবেদনে এই দুই চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে ১ ও ১১ নম্বরে।
সিইসির কাছে আবেদন দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিনিয়ত জনপ্রতিনিধিদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী (চেয়ারম্যান) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষে কাজ করতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এই শঙ্কায় ১৭ জনপ্রতিনিধির পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদনটি করা হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply