‘এভারগ্রিন’ সালমানের প্রেমিকারা

|

সালমান খানের আসল নাম আবদুল রশিদ সেলিম। আজ তার ৫৮তম জন্মদিন। এখনও তিনি ভারতের সবচেয়ে ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’। বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় এই তারকার যেমন রয়েছে সুন্দর চেহারা-ফিটনেস, তেমনি রয়েছে তার অভিনয় দক্ষতা। তবে তার জীবনে অজস্র প্রেম এসেছে বসন্তের মতো, আবার চলেও গেছে রুক্ষ শীতের মতো। যৌবন বয়সে একাধিক প্রেমের সাথে নিজের নাম জড়ালেও এখন অব্দি বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি ‘বলিউড প্রেমগুরু’। ব্যক্তিগত জীবনে প্রণয় ঘটিত কারণে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন ‘বলিউড ভাইজান’। একনজরে দেখে নেয়া যাক তার কিছু প্রণয় কাহিনী—

সালমান খান ও সংগীতা বিজলানি: প্রথাগত পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ১৯৮০ সালে বলিউডে নাম লেখান ‘সাল্লু’। আর প্রেমের অভিষেকটাও হয় সে বছরই। সংগীতা বিজলানি ছিলেন সেসময়ের ‘মিস ইন্ডিয়া’ বিজয়ী। কৌশলে জয় করে নেন সুন্দরীর মন। ব্যস! শুরু হয়ে যায় দুজনার প্রেমে মাতোয়ারার দিন। তবে সে প্রেম বেশিদিন স্থায়িত্ব পায় না। বাগদান হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছর পর তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। এরপর মিস ইন্ডিয়া হুট করে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের সঙ্গে। প্রেমের সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলেও সালমান ও সংগীতার বন্ধুত্ব রয়েছে আজও অটুট।

সালমান খান এবং সোমি আলি: প্রেমের দরিয়ায় সালমানের নোঙর ফেলার কমতি হয়নি কখনও। পাকিস্তানের অভিনেত্রী সোমি আলি বি টাউনে এসেছিলেন মূলত সালমানের জন্য। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বলিউড তারকার প্রেমে পড়েন তিনি। বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করলেও তিক্ততায় শেষ হয় দুজনার সম্পর্ক। শোনা যায়, এই অভিনেত্রীর শিশুসুলভ আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই আলাদা হয়ে যান ভাইজান। শুরুতে দুজনই সাক্ষাত্কারে একে অপরের সম্পর্কে ‘ইতিবাচক’ কথা বললেও এখন আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। সোমিকে বর্তমানে সাল্লু সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায়।

সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাই: বলিউডের পর্দার বাইরে সবচেয়ে আলোচিত জুটি সালমান-ঐশ্বরিয়া। বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে খানের সম্পর্কের কথা অজানা নয় কারও। ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির সেট থেকে সূত্রপাত তাদের প্রণয়ের। বেশ ভালোই চলছিলো দুজনের প্রেম রসায়ন। কিন্তু হঠাৎ ঐশ্বরিয়ার ব্রেকআপের ঘোষণায় সাল্লু এলোমেলো হয়ে যায়। তবে সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’। শেষ চেষ্টা স্বরূপ বাবা সেলিম খানকেও পাঠিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়ার কাছে। কিন্তু ‘বিশ্ব সুন্দরী’ও যে ধনুক বাঁকা পণ করে বসেছিলেন! কিছুতেই আর সম্পর্ক জোড়া লাগলো না।

সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ: ঐশ্বরিয়া রাইয়ের মতো ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গেও ভাইজানের সম্পর্কের কথা বহুল প্রচারিত। সালমানের হাত ধরেই বলিউডে এসেছিলেন ক্যাটরিনা। অনেকেই ভেবেছিলেন, আর বুঝি নারীসঙ্গে যাবেন না সালমান। কিন্তু ‌‘বাই বর্ন লাভার’ কেন থেমে থাকবেন? প্রেম মানেই তো সামনে এগিয়ে যাওয়া। নিন্দুকের মুখে ছাই ছিটিয়ে আবারও প্রেমে পড়লেন সাল্লু। প্রথম দিকে সম্পর্কের কথা দুজনের কেউই স্বীকার করেননি। পরবর্তীতে, ক্যাটের সঙ্গে জোড়াতালির সম্পর্কে কিছুটা ক্লান্তও ছিলেন বোধহয় সালমান। ক্যাটরিনা চলে যাওয়ার পর তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য তাই আর কোনো ঝামেলায় যাননি সাল্লু।

সালমান খান ও লুলিয়া ভানতুর: এতো এতো প্রেম করে ‘ক্লান্ত’ সালমান নতুন করে আর প্রেমে জড়াননি। মাঝখানে বেশ কিছুটা সময় নিস্তরঙ্গ নদীর মতো তার জীবন ছিল। তবে নদী আর কতক্ষণই বা নিস্তেজ থাকে? তেমনি পারলেন না ভাইজানও। হুট করেই বছর খানিক আগে শোনা গেলো, লুলিয়া ভানতুর নামে এক রোমানিয়ান টিভি উপস্থাপকের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড তারকা। শুধু তাই নয়, তারা শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন, এমন খবরও প্রকাশ হতে লাগলো। এখন দেখার পালা, সেই ঘোষণা সত্যি হয়? নাকি আগের প্রেমিকাদের মতো লুলিয়াও ‘এভারগ্রিন’ সালমানকে বাহুডোরে বাঁধতে ব্যর্থ হবেন?

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply