স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের এক সমর্থককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই সমর্থকের নাম ইকবাল হোসেন (৩২)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারি (রাজনৈতিক) আবু মুসা আনসারীর নির্দেশে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সুলতানপুর ইউনিয়নের শীলবাড়ির মোড়ের গলির রাস্তায় অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তি ইকবালের পথরোধ করেন। পরে তারা নিজেদের ডিবি পরিচয়ে পিস্তল বের করে। পরে তাকে হাতকড়া পরিয়ে স্থানীয় একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। শব্দ করলে গুলি করার হুমকিও দেন তারা। ইকবালের সাথে হৃদয় মিয়া নামের এক যুবককেও ভয় দেখানো হয়। কিছুক্ষণ পর ছাত্রাবাসের কাছে থাকা কালো রঙের একটি গাড়িতে ইকবালকে তুলে নেয়া হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গাড়িতে তুলে ইকবালের চোখ বেঁধে আবু মুসা আনসারীর বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে একটি রুমে আটকে রেখে তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এ সময় কাঁচি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করলে পিস্তলসহ তাকে র্যাবের কাছে সোপর্দ করার ভয়ও দেখানো হয়। একপর্যায়ে ডান হাতে একটি ইনজেকশন দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। তখন হাত বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ফেলে রাখা হয়। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুলতানপুর গ্রামের ছাত্রাবাসের বাঁশঝাড়ের কাছে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ইকবালকে।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও মুসা আনসারীর লোকজন ইকবালকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে তিনি খালার বাসায় চলে যান বলেও অভিযোগ করা হয়।
জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট শেখ ওমর ফারুকের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এএস/এনকে
Leave a reply