আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ বরাবরই হিমশিম খেয়েছে আধুনিক এই ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নিতে। এখনও যেকোনো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেই টাইগারদের দুর্বল ভাবা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সমীকরণ। দিন বদলের বার্তা দিচ্ছে টাইগারদের এই ফরম্যাটের পরিসংখ্যান।
২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শাহরিয়ার নাফিসের নেতৃত্বে ৪৩ রানের জয় দিয়ে নতুন দিনের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছিল লাল সবুজের দল। পরের বছর ৭ ম্যাচে ২ জয় পেলেও ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন বছর জয়শূন্য ছিল বাংলাদেশ। এরপর মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও, এই ফরম্যাটে খুব কমই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে জয়ও তুলনামূলক কম ছিল।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে ২০২১ সালে। ২৭ ম্যাচ খেলে ঐ বছর সর্বোচ্চ ১১ জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। গেল বছর কিছুটা ব্যর্থতায় কাটলেও চলতি বছরে নিজেদেরকেই ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
পাওয়ার হিটিংয়ের এই ফরম্যাটে ২০২৩ সালটা এযাবৎকালের সবচেয়ে সফল বছর বাংলাদেশের জন্য। চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা ১৩ ম্যাচের ১০টিতেই জিতেছে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সিরিজের ২য় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল শান্ত-মোস্তাফিজরা। তবে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। সেজন্য ১২ ম্যাচেই ১০ জয় বলা যায় বাংলাদেশের। অর্থাৎ চলতি বছর লাল সবুজ জার্সিধারীদের টি-২০ তে জয়ের হার ৮০ শতাংশের বেশি।
মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের মাধ্যমে ২০ ওভার ক্রিকেটের বছর শুরু করে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। জুলাইয়ে আফগানদের সিলেটে ধবলধোলাই করে সাকিবের দল। এরপর হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে সাইফ হাসানের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারায় আফিফ-ইয়াসির আলীরা।
কিউইদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বছরটা শেষ হচ্ছে তাসমান সাগরপাড়ে। ৫ উইকেটের জয়ে ইতিহাস গড়ে শুরুর পর ২য় ম্যাচটা বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ায় আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে। ওই ম্যাচে জয় পেলে ১৪ ম্যাচে ১১ জয় নিয়ে বছর শেষ করবে টিম টাইগার্স। ২০২৪ বিশ্বকাপের আগে যা বড় অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে লাল সবুজের বাংলাদেশের জন্য।
/এনকে
Leave a reply