আলমগীর হোসেন:
শিক্ষা, চিকিৎসা ছাড়াও শীত মৌসুমে বিদেশে যাচ্ছেন অনেকে। আগের চেয়ে ওমরাহ পালনে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে নগদ ডলার বিক্রি করছে না অনেক ব্যাংক। পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টেও দেখাচ্ছে অনীহা।
ব্যাংকে ডলার না পেয়ে মানি এক্সচেঞ্জের দ্বারস্থ হচ্ছেন গ্রাহকরা। সেখানেও একই অবস্থা। ঘোষিত দামে কোথাও ডলার মিলছে না। বাধ্য হয়েই খোলা বাজার থেকে বাড়তি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা কয়েকজন বিদেশগামী জানান, বেশি টাকায় হলেও তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে। কারণ, তাদের রোগী আছে, যেতে হবে বিদেশে। ১২৫ টাকায় কিনতে হয়েছে ডলার। কিন্তু ব্যাংকে সেই রেট আরও কম।
মানি এক্সচেঞ্জ মালিকরা বলছেন, ব্যাংকের সাথে সমন্বয় করে ডলার লেনদেনের জন্য প্রতিদিন মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাদের অ্যাসোসিয়েশন। ঘোষিত দামে তারাও ডলার কিনতে পারছে না। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে নিজেদের ঘোষিত দামের চেয়ে প্রতি ডলারে ১২ থেকে ১৩ টাকা বেশি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান শরীফ হাসানুল বাহার তুশার বলেন, প্রবাসী তো ১২৩.২৫ টাকায় রেমিট্যান্স পাঠায়। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ প্রনোদনা। তাতে তাদের ডলারের রেট পড়ছে ১২৬ টাকার কাছাকাছি। কেউ ডলার বহন করে এনে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ১১৪.৫০ টাকায় বিক্রি করবে না। রেট সমন্বয় করতে হবে।
ব্যাংকাররা বলছেন, যোগান কিছুটা বাড়লেও ডলারের সংকট পুরোপুরি কাটেনি। নগদ ডলার বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছে ব্যাংক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
সিটিজেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ডলার সংকট আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সংকট আছে বলেই তো এভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যাংক ইচ্ছেকৃতভাবে ডলার ধরে রাখতেছে বা বিক্রি করছে না, তা কিন্তু নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক খুব চেষ্টা করছে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে।
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দিলে ডলার সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলেও মনে করেন ব্যাংকাররা।
/এমএন
Leave a reply