কখনও কি মেয়ের কথা মনে পড়ে প্রসেনজিতের?

|

বহু বছর হয়ে গেল বাবার সঙ্গে দেখা হয় না মেয়ের। কারণ মেয়ে থাকেন মায়ের সাথে। সম্পর্ক নেই মা-বাবার। বাবা হয়ত মনে মনে অনুভব করেন মেয়েকে। কিন্তু বিধির খেলায় দেখা হয়ে ওঠে না। বলছি, টালিউডের জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিত আর তার মেয়ে প্রেরণার কথা।

সম্প্রতি প্রেরণার সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন প্রসেনজিতের বোন পল্লবী। এরপর সোস্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কয়েক বছর পর পুনরায় দেখা হল। একটি সুন্দর ক্রিসমাস সারপ্রাইজ আমার ছোট্ট এঞ্জেলের জন্য। প্রসেনজিতের দ্বিতীয় স্ত্রীকেও ট্যাগ করেন সেই পোস্ট। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

১৯৯২ সালে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ। তিন বছর যেতে না যেতেই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপরই ১৯৯৭ সালে অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেন নায়ক। সেটাও টেকেনি। বছর পাঁচেক যেতে না যেতেই দু’জন ইতি টানেন সম্পর্কের। 

অভিনয় জগতের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না অপর্ণার। ভালোবেসেই হাত ধরেছিলেন প্রসেনজিতের। দু’জনের একটি মেয়েও হয়। যার নাম রাখেন প্রেরণা। কিন্তু প্রসেনজিতের সঙ্গে নায়িকাদের অতি ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি সিনেমাজগতে কখনও পা না রাখা অপর্ণা। ধীরে ধীরে শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি। অপর্ণা পরকীয়ার অভিযোগ আনেন প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে। সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে চলে যান বিদেশে। 

প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেরণা পেশায় আইনজীবী। তিনি যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা।

একবার প্রসেনজিত বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তিনি করুণাময়। খারাপ হোক, ভালো হোক, আশা রাখি ঈশ্বর একটা সময় দেবেন, যখন আমরা একে অপরকে (প্রসেনজিত ও তার মেয়ে) জড়িয়ে ধরব’।

অপর্ণার সঙ্গে ডিভোর্সের বছরেই অর্পিতাকে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। তাদের একমাত্র সন্তান তৃষাণজিৎ। খুব শিগগিরই হয়ত সেও পা রাখবে অভিনয় জগতে।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply