বিদেশের মাটিতে শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবদের দাপট এদেশের পেসারদের জন্য প্রেরণার। এমনটাই মনে করেন এই দু’জনের সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার বিশ্বাস এখন পাইপলাইনে যত পেসার, তাতে একবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে স্বস্তিতে ভুগলেই বিপদ। বরং থিতু হতে প্রতিনিয়ত নিজের উন্নতি করা প্রয়োজন। ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মৃত্যুঞ্জয় পরামর্শ দিয়েছেন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিউক বলেই খেলা উচিত ঘরোয়া ক্রিকেট।
মিরপুরে একা একাই ফেরার লড়াই করছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এবছরই অভিষেক হলেও ইনজুরিতে ছিটকে যেতে হয়েছিলো। এরপর একটু একটু করে চেষ্টা ২২ গজে ফেরার। সামনে বিপিএল দিয়েই হয়তো মাঠে দেখা যাবে তাকে। মৃত্যুঞ্জয় অবশ্য ভালোভাবেই জানেন এখন বসে থাকার সময় নেই। দেশের পেইস আক্রমণের যে পাইপলাইন তাতে জায়গা নিতে পারে যে কেউ।
মিরপুরে সাংবাদিকদের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বলেন, সামনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খেলা। আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি। ইয়র্কার, সুইং নিয়ে কাজ করছি। আমার দলে (বিপিএল) আমি নতুন বলে বোলিং করতে পারি। এজন্য আমি সুইং বলে অনুশীলন করছি। ডেথ ওভারে স্লোয়ার বা ইয়র্কার, এগুলো নিয়েই কাজ করছি।
এ কথার সবচে বড় প্রমান শরিফুল ইসলাম। এবাদত আগে থেকেই নেই। ইনজুরি যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। সেখানে পেইস আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন শরিফুল। তিন ফরম্যাটেই এই পেসার জানান দিয়েছেন রাজত্ব করতেই এসেছেন তিনি। এ বছরের তার স্ট্রাইক রেট ২৫.৫। যা কিনা সব ফরম্যাটে দেশের ক্রিকেট সেরা। সুযোগ পেয়েছেন তানজিম সাকিবও। এই দু’জনেই এক সময় মৃত্যুঞ্জয়ের সতীর্থ ছিলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ের সময়।
তিনি বলেন, তা তো অবশ্যই কাজ করে। আমরা একটা টিম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। একটা দল চ্যাম্পিয়ন হলে বন্ধন আরও অটুট হয়। শরিফুলের সাথে আমি যখনই খেলছি, সে কিন্তু আমার রুম মেট ছিল। এখনও যখন কথা হয় ভালো লাগে। তানজিম সাকিবও আছে। সেও ভালো করছে । যখন দুজনই আমার টিম মেট। ভালো খেলছে, এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তারা পারছে, আমিও পারব। তারা যে ভালো খেলছে এটা আমাদের দেশের জন্য বড় প্রাপ্রি। এটা ভালো লাগা কাজ করে।
পেইসারদের আলো ছড়ালেও, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ব্যাটাররা সফল হতে পারেননি। দেশের বাইরে এই ছবিটা অবশ্য পুরনো। বাইরের এই চ্যালেঞ্জ নিতেই ডিউক বলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ মৃত্যুঞ্জয়ের। গেল জাতীয় লিগে প্রথম চার রাউন্ড খেলা হয়েছিলো ডিউক বলেই। তখনো সংগ্রাম করেছিলেন ব্যাটাররা। এরপর ব্যবহার হয় কোকাবুরা। তবে এই মানসিকতার পরিবর্তন চান এই পেসার।
কিন্তু প্রচলিত আছে এখানে ব্যাটাররা নিজেদের’ কমফোর্ট জোন’ থেকে বের হতে চাননা। কিন্তু ঘরে বাইরে সফল হতে সেই মানসিকতার বদল যেমন প্রয়োজন তেমনি ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামও বদলাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে নতুন বছরে সেই পালা বদলের কী দেখা মিলবে বিসিবিতে।
/আরআইএম
Leave a reply