ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রাতে মাঠে নেমেছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুল। তাদের প্রতিপক্ষ নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ম্যাচে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে খেলতে যাওয়ার আগে ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। ম্যাচের ২২ মিনিটে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সালাহ। তার পেনাল্টি মিসে হতাশাও বাড়ে ড্রেসিংরুমে। তবে পরে জোড়া গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেছেন।
৬ গোলের এই ম্যাচে কোনো দলই প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি। বেশকিছু সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় লিভারপুল। প্রথমার্ধে ১৮টি শট নেয় ক্লপের শিষ্যরা। যেটি অবিশ্বাস্যও বটে। ২০১৬ সালের এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের পর প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের প্রথমার্ধে এটিই তাদের সবচেয়ে বেশি শট নেয়ার রেকর্ড।
এত এত আক্রমণের পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সুযোগ পেয়ে ট্রেন্ট আলেক্সান্দার আর্নল্ড বল মেরেছেন গোলপোস্টে। নুনিয়েজকে আটকে দিয়েছেন নিউক্যাসল গোলকিপার দুব্রাভকা। কিংবা কখনও তাদেরকে রুখে দিয়েছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিও (ভিএআর)।
প্রথমার্ধে লুইজ দিয়াজ নিউক্যাসলের জালে বল পাঠিয়ে ছিলেন। তবে ভিএআর সে গোল বাতিল করে। মূলত নুনিয়েজ অফসাইডে ছিলেন। এছাড়া ৩৭ মিনিটে নিউক্যাসলের ড্যান বার্নও হেডে লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়ে ছিলেন। তবে আইজ্যাক অফসাইডে থাকায় সে গোলও বাতিল করে ভিএআর।
এর আগে, ২২ মিনিটে দিয়াজকে ফাউল করে পেনাল্টি দেয় নিউক্যাসল। সালাহ পেনাল্টি কিক নেন। তবে তার দুর্বল শট রুখে দেন দুব্রাভাকা। তবে বিরতির পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। ৪৯ মিনিটে নুনিয়েজ দেয়া বলে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান সালাহ। পরে ৫ মিনিট পরেই আইজ্যাকের গোলে সমতায় ফেরে নিউক্যাসল।
ম্যাচের ৭৪ ও ৭৮ মিনিটে লিভারপুল ব্যবধান বাড়ায় কার্টিস জোনস ও কোডি গাকপো গোলে। ৮১ মিনিটে সভেন বোটমানের গোলে ম্যাচে ফেরার আশা তৈরি করেছিল নিউক্যাসল। তবে ৮৬ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় লিভারপুল। এবার স্পটকিক থেকে আর গোল করতে ভুল করেননি সালাহ। গোল করার পাশাপাশি চলতি মৌসুমে ইপিএলে সর্বোচ্চ গোলদাতা আর্লিং হাল্যান্ডের (১৪ গোল) আসনে ভাগ বসালেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। আর নিউক্যাসল ২০ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে নবম স্থানে।
Leave a reply