নড়বড়ে শুরু, স্বপ্নের মতো শেষ শরীফুলের

|

সফল নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। কিউই সফর বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ হতাশা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ছিল। যেখানে সেরা পারফর্মার ছিলেন পেসার শরীফুল ইসলাম। তবে কেবল এই সিরিজই নয় বাংলাদেশ দলের ২০২৩ সালে যা কিছু ভালো হয়েছে তাতে অন্যতম বড় ভূমিকা রেখেছেন এই পেসার।

যদিও বিদায়ী বছরে শুরুতে দলে তার জায়গা ছিল বেশ নড়বড়ে। তবে হতাশা কাটিয়ে বাঁহাতি এই পেসার ফিরেছেন দারুণভাবে। হয়েছেন সদ্য শেষ হওয়া বছরে দলের সেরা বোলার। তিন ফরম্যাটে শিকার করেছে টাইগারদের পক্ষে সর্বাধিক ৫২ উইকেট।

গত ১২ মাসে বিশ্ব ক্রিকেটে শরীফুল নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ২০২৩ সালে ওয়ানডেতে ১৯ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল। যা দেশের সেরা পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় সেরা তাসকিনের উইকেট ১৮ ম্যাচে ২৬।

বিশ্ব ক্রিকেটে উইকেটের বিচারে ১০ সেরা বোলার শরীফুল। তবে ২০টির নিচে ম্যাচ খেলেছেন এমন বোলারদের মধ্যে তিনি বিশ্বের তৃতীয় সফল বোলার ছিলেন ২০২৩ সালে। টি টোয়েন্টিও ভালো করেছেন। ৫ ম্যাচে নামের পাশে ৮ উইকেট।

তবে বছরের শেষ সফরে নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি কন্ডিশনে শরীফুল নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কেবল উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্ট সেরাই হননি। তার গতি, বাউন্স আর দুই দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা ছিল দেখার মতো।

নিজের এমন ব্যক্তিগত সাফল্যে খুশি হলেও ওয়ানডেতে দল প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় হতাশাও রয়েছে তার। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বছরটা খুব ভালো গেছে। কিন্তু আমরা যদি দলগতভাবে আরেকটু ভালো করতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগতো।

২০২৪ সালে আরও বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেন শরীফুল। তবে নিজের চেয়ে দল নিয়েই বেশি আশা প্রত্যাশা এই তরুণের। ইনজুরি কাটিয়ে পরের সিরিজে তাসকিন ফিরলে আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বাংলাদেশের পেস ডিপার্টমেন্ট সেটিই মনে করছেন শরীফুল। আর বছর শেষে এবাদত সেরা ফিটনেস আর ছন্দ ফিরে পেলে তা হবে শোনায় সোহাগা।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply