২০২৩: ক্রিকেটের আলোচিত উক্তি

|

যে বছর গেছে, তা একেবারেই কি গেছে? কোন কিছু কি অবশিষ্ট নেই?

বিদায় নিয়েছে ২০২৩ সাল, কিন্তু বছরজুড়েই ছিল ক্রিকেটারদের নানা মত। আলোচনা-সমালোচনা, পক্ষে-বিপক্ষে নানাজনের বিখ্যাত বচন। কখনও সাকিব-তামিম, কখনও কামিন্স-আকরামরা করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য। হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম। চলুন ফিরে দেখি, গত বছরের আলোচিত কিছু উক্তি–

বিপিএল আয়োজনের মান নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলেছিলেন, আমাকে যদি ‘সিইও’র দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমার বেশিদিন লাগবে না। সব ঠিক করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস লাগবে।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কেমন উইকেটে খেলবে, এমন প্রশ্নে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘দেশের বাইরে গেলে আমাদের যা আছে, তা দিয়েই ম্যানেজ করতে হবে। যদি মিসাইল না থাকে, তাহলে আমাদের তো গেরিলা যুদ্ধই করতে হবে, তাই না? ওদের আমাদের ঘরে আসতে দাও, আমরা ছোট্ট ছোট্ট অস্ত্র দিয়ে লড়ব।’

তামিম ইকবালের হঠাৎ অবসরের পর প্রতিক্রিয়া জানতে বিসিবি প্রধানকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কেমন আছেন’? ভাল-মন্দের উত্তরে পাপন বলেছিলেন, ‘যা শুরু হয়েছে না, নাটক আর ভালো লাগে না। অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।’

ফিট নন জানিয়ে তাকে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেয়ার পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তামিম ইকবাল। বলেন, আমাকে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করলেন। বললেন, ‘তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি এক কাজ করো– প্রথম ম্যাচ খেলো না আফগানিস্তানের সঙ্গে।’ আমি বললাম, এখনও ১২-১৩ দিন হাতে আছে। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন তিনি বললেন, ‘আচ্ছা, আমরা এমন একটা প্ল্যান করছি, তুমি যদি খেলোও, তাহলে নিচে ব্যাট করাব।’

মেসি ও ম্যারাডোনার মধ্যে কাকে সেরা মনে করেন, এমন প্রশ্নে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছিলেন- ‘একজনকে বেছে নিতে হলে আমি লিওকে নেব। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটাও বিশেষ কিছু। মেসি ইতিহাসের সেরা, যদিও ম্যারাডোনাও কিংবদন্তি, ইতিহাসের অংশ।’

কেন পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব নিতে চান না, কারণ ব্যাখ্যা করে সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘সমালোচনায় আমি ভয় পাই না। কিন্তু পাকিস্তানে জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কেরা শুধু অহেতুক সমালোচনার শিকারই হন না, তাদের রীতিমতো অসম্মান করা হয়। গালাগালি করা হয়।’

ভিরাট কোহলিকে শতকের পর শতক করার পথ ভারতই করে দেবে মন্তব্য করে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ‘তোমার হাতে আরও ৮-৯ বছর আছে। ভারত তোমাকে দরকার হলে হুইলচেয়ারে বসিয়েও খেলাবে। ভারতই তোমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করিয়ে দেবে।’

ভারত কেন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জিততে পারে না, সেই ব্যাখ্যায় অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন বলেছিলেন, ‘ভারতের আইসিসি টুর্নামেন্টে শিরোপা না জেতাটা যতটা না সামর্থ্যের কারণে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক কারণে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে দেখে সাবেক উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্ল হুপার বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি, বেঁচে থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে এ অবস্থায় দেখব। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ালিফাই করতে পারছে না, এর চেয়ে বাজে অবস্থা আর হতে পারে না।’

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে টেলিভিশন আলোচনায় ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং ও ফিটনেস দেখুন। দেখে তো মনে হয়, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির গোশত খায়। তাহলে কি ফিটনেস পরীক্ষাটা হওয়া উচিত না?’

২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের লাখো দর্শকের সামনে খেলার চাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, ‘নিশ্চিতভাবে দর্শক থাকবে ভারতের সমর্থনে। কিন্তু খেলায় এমন বিপুলসংখ্যক সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেয়ে সন্তুষ্টির আর কিছু হতে পারে না। আমাদের লক্ষ্য এটাই।

অজি কাপ্তান সেটা প্রমাণও করেছেন। দিনশেষে বিশ্বকাপটা গেছে অস্ট্রেলিয়ার হাতেই।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply