খাজার পাশে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোয় উসমান খাজাকে আইসিসি তিরস্কার করলেও, তাকে সমর্থন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্হনি অ্যালবানিজ। খাজা মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

টেস্টে দীর্ঘদিন ডেভিড ওয়ার্নারের ওপেনিং সঙ্গী উসমান খাজা। সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যা, বিশেষ করে শিশু ও নারী হত্যার প্রতিবাদে সরব এই মুসলিম ক্রিকেটার। দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভালো। সিডনিতে শেষবারের মতো টেস্ট খেলতে নামার আগে খাজার কথা বলতে যেয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন ওয়ার্নার।

তিনি বলেন, সে যেটা বিশ্বাস করে সে সেটা বলেছে। সব জীবনের দামই তো সমান এবং অমূল্য। খাজা জানতো সে সমালোচনার শিকার হবে। কিন্তু সে অনেক বড় মনের মানুষ, সে দারুণ একটা কাজ করেছে। আমি তাকে শুধু বলেছি এগিয়ে যাও।

ফিলিস্তিনের মানুষদের সমর্থনে নিজের জুতার মধ্যে শান্তির বার্তা লিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বাধায় পার্থ টেস্টে সেটি করতে পারেননি। পরে প্রতিবাদের ভিন্ন কৌশল কালো আর্মব্রান্ড পরে খেলতে নামেন খাজা।

এতেও আইসিসি অসন্তুষ্ট। আর তাইতো দ্বিতীয় টেস্টে নিজের ব্যাটে শান্তির প্রতিক হিসেবে ঘুঘু ও জলপাই পাতার স্টিকার নিয়ে খেলতে চান এই অভিজ্ঞ ওপেনার। কিন্তু আবারও আইসিসির বাধা। শেষ পর্যন্ত জুতায় নিজের দুই মেয়ে আয়েশা ও আয়লার নাম লিখে খেলতে নেমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলেন খাজা। প্রতিবাদী অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি। এখন খাজার সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্হনি অ্যালবানিজ।

তিনি বলেন, আমি উসমান খাজার সাহস ও প্রতিবাদের প্রশংসা করি। সে মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকটি জীবনই অমূল্য, আমরা সব জীবনের নিরাপত্তা চাই। তার এমন কাজে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সমর্থন পাওয়াটা একটি দারুণ ব্যাপার।

খাজার বাল্যবন্ধু ডেভিড ওয়ার্নার সিরিজের শেষ ম্যাচের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন। যেকারণে ম্যাচটি দু’জনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগের। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পাওয়া খাজার জন্য দারুণ এক ব্যাপার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply