লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সালেহ আল-আরৌরি। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়ে শহরে চালানো ঐ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন। খবর আল জাজিরার।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে হামাস নেতাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তেল আবিব। হামাসও জানিয়েছে, শহরটিতে অবস্থিত তাদের কার্যালয়ে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষ এই নেতাকে। নিহতদের মধ্যে কাসেম ব্রিগেডের আরও দুই কমান্ডার রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গুপ্তহত্যার লক্ষ্যে চালানো এ হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলকে চড়া মাশুল গুণতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সালেহ আল-আরৌরি ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান। হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার ছিলেন তিনি।
এ নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, হামাসের সাত সদস্য ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ড আমাদের আরও শক্তিশালী করবে, আগের চেয়ে লক্ষ্যে আরও বেশি দৃঢ় করে তুলবে। এটাই আমাদের আন্দোলনের ইতিহাস। এই নৃসংশ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ভয়াবহ অপরাধ করেছে ইসরায়েল। হামাসের পক্ষ থেকে যেকোনো জবাবের জন্য দায়ী থাকবে এই ঘটনা।
এসজেড/
Leave a reply