দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে ঢাকায় আওয়ামী লীগ ছাড়া বেশিরভাগ প্রার্থীকে ভোটের মাঠে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনে অংশ নেয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচার পোস্টার-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ। তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, সুপ্রিম পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাসদ, বিএনএফসহ প্রায় সব দলের প্রার্থীই একরকম শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। ভোটাররাও বলছেন, নৌকা আর লাঙ্গল ছাড়া অন্য মার্কা চেনেনই না তারা।
মা বকুল বেগম আর তিনজন প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে এমপি হওয়ার দৌড়ে ভোটের মাঠে সোহেল সামাদ বাচ্চু। এই পাঁচজনই যতটা পারছেন ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৩ আসনে এবার বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী হলেও প্রচারণায় খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না সোহেল সামাদ বাচ্চু। তিনি বলেন, চারদিকে নৌকার যে আধিপত্য, তাতে আমরা হয়ে পড়েছি বটবৃক্ষে পরগাছার মতো। তবে সমাজে পরিবর্তন প্রয়োজন। আর এই পরিবর্তন আসবে ভোটের মাধ্যমেই।
এই আসনে আরও ৫ প্রার্থী রয়েছেন। সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রতীক ছড়ি, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা, ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি কিংবা বিএনএফের টেলিভিশন মার্কাও অনেকটাই অচেনা এখানকার ভোটারদের কাছে।
ভোটাররা বলছেন, এসব মার্কা যে আছে সেটিই জানতেন না তারা। কিছু কিছু প্রার্থীর পোস্টার দেখলেও প্রচারণার মাঠে তাদের দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামলী রিং রোডে ৪০ মিনিটের মধ্যে নৌকার মিছিল চোখে পড়েছে ৫টি। অন্য প্রার্থীরা কদাচিৎ মাইক বাজিয়ে প্রচারণার কাজ সারছেন।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে চেয়ে বেশি প্রার্থী ঢাকা-১৪ আসনে। এই একটি আসনে প্রার্থী ১৩ জন। অথচ সেখানেও দুই একজন বাদে অন্য প্রার্থীরা নীরব।
ঢাকা-১১ কিংবা ১৭ আসনেও একই অবস্থা। পোস্টারের দেখা মিললেও প্রার্থীদের দেখা মেলে না খুব একটা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দাবি, নৌকার গণজোয়ার দেখে হয়তো অন্য প্রার্থীরা মাঠে নামছে না।
এসজেড/
Leave a reply