যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনা আরও বাড়লো ইরানের

|

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ফটো: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই এখন যুদ্ধের দামামা। এর মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাবেক প্রধান জেনারেল কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে হওয়া জোড়া বোমা বিস্ফোরণ অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।

৪২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই হামলায় ক্ষুব্ধ ইরান। বিস্ফোরণের ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে সরাসরি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে দেশটি। তেহরানে, জনসমাবেশে দেয়া ভাষণে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট  ইব্রাহিম রাইসি। বলেন, আমি ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিচ্ছি। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, এই অপরাধের মূল্য তাদের দিতেই হবে। যে অপরাধ তারা করেছে, তার জন্য অবশ্যই অনুশোচনা করবে। একদিন চরম অপমানিত হয়ে এই ভূখণ্ড ছাড়তে হবে ইসরায়েল ও আমেরিকা।

অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তেহরানের এমন দাবিকে হাস্যকরও বলছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমা হামলার পরম মিত্র ইসরায়েলেরও কোনো যোগসাজশ নেই বলে দাবি ওয়াশিংটনের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কোনোভাবেই এই হামলার সাথে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। এ ধরনের কোনো অভিযোগ হাস্যকর। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলেরও এই বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্যও পাইনি।

প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া-তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘের মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো-মার্টিনেজ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব ইরানের কেরমান শহরে স্মরণসভায় এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মহাসচিব দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবার ও ইরান সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় জেনারেল সৌলাইমানিকে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ছিল এই সামরিক কর্মকর্তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply