সাত জানুয়ারির ভোট নিয়ে বিদেশিরা আশ্বস্ত কি না তাদের মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি জানাতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও মিশনপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। পরে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব।
বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আসেননি। তবে তারা প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ৫৩ দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বৈঠকটিতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তৃতার পর বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রশ্ন বা মন্তব্য করার সুযোগ ছিল এ সময়। তবে খুব বেশি আগ্রহ দেখাননি বিদেশি কূটনীতিকরা। প্রশ্ন উঠেছিল কেন তারা প্রশ্ন করেননি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম তোমরা প্রশ্ন করো না কেন? তারা বলে আমরা তো সবসময় এখানে আসা-যাওয়া করি। সববিষয়েই অবগত রয়েছি। তাই প্রশ্ন করা হয়নি।
ইসি ও সরকারের অবস্থানে বিদেশিরা বিশেষ করে পশ্চিমারা আশ্বস্ত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটা তো চেহারা দেখে বলা মুশকিল। তবে আমাদের পক্ষ থেকে এবং নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। তাদের (ইসি) পক্ষ থেকে আন্তরিকতা এবং প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই বোঝানো হয়েছে। ৭ তারিখে যদি জনগণ ভোট দেয় এবং ভোট দিতে আসে তার মাধ্যমেই উনাদের চেষ্টাটা সফল হবে।
তবে কমিশনের ব্রিফিং নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা কথা বলতে চাননি। বলছেন, সরকার ও কমিশনের অবস্থা জেনেছেন তারা।
এ বিষয়ে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার বলেন, শুরু থেকেই কমিশন তাদের মতো চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে সেটার জন্য তো কমিশন দায়ী না।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ মিশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমরা সিইসি’র কাছ থেকে সবশেষ পরিস্থিতি জেনেছি। এটা ভালো লাগলো। আশ্বস্থ কি না, তা নিয়ে মন্তব্য করবো না।
তবে সাত জানুয়ারির ভোট নিয়ে আশাবাদী চীন। দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আশা করি একটা সফল নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য মাইলফলক হবে বলেই মনে করি। ভোটের পর বাংলাদেশ আরও দৃশ্যমান ও শক্তিশালী হবে।
/এনকে
Leave a reply