তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে প্রথমবারের মতো লিড পেয়েও হারের শঙ্কায় পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রানের জবাবে আমের জামালের বোলিং তোপে ২৯৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানের লিড পেয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অজি পেসার জশ হ্যাজলউডের বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে শান মাসুদের দল। এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ৫৮ রান তুললেও মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় সফরকারীরা। তৃতীয় দিন শেষে ৮২ রানের লিড নিয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সিডনিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের জুটি এনে দেয় ৭৯ রান। পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকেই সাজঘরের পথ দেখায় পাকিস্তান। লাবুশেন ৬০ ও স্মিথ ফেরেন ৩৮ রান করে।
ট্রাভিস হেডও বেশিক্ষণ টেকেননি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রানের জুটি বাঁধেন মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারি। ৫৪ রান করা মার্শকে জামাল তুলে নেয়ার পরের ওভারে ক্যারিকেও (৩৮) আউট করেন স্পিনার সাজিদ। এই সিরিজে এ নিয়ে টানা চতুর্থ অর্ধশতক তুলে নিলেন মার্শ। এরপর আমের জামালের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৯ রানে গুটিয়ে ১৪ রানের লিড নেয় পাকিস্তান। ৬৯ রান খরচে ৬ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। এছাড়া ৫৪ রান করেন মার্শ।
বড় লক্ষ্য গড়ার স্বপ্নে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই ধাক্কা খায়। প্রথম ওভারেই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (০) বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে এসে অধিনায়ক শান মাসুদকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন হ্যাজেলউড। তৃতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবকে নিয়ে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন বাবর আজম।
তবে ৩৩ রান করা আইয়ুবকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন ন্যাথান লায়ন। কিছুক্ষণ পর সাজঘরের পথ ধরেন বাবর আজমও। ট্রাভিস হেডের শিকার হওয়ার আগে ২৩ রান করেন তিনি। এরপর দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে এসে একে একে ৩ উইকেট তুলে নেন হ্যাজেলউড। তার প্রথম বলে স্লিপে থাকা স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন সাউদ শাকিল। তৃতীয় বলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আসা সাজিদ খানের স্টাম্প উড়িয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। আর পঞ্চম বলে শিকার করেন সালমান আলী আঘাকে।
দলীয় ৫৮ থেকে ৬৭ এই ৯ রান তুলতে পাকিস্তান হারিয়েছে ৫ উইকেট। ৫ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট নেন হ্যাজলউড।
/আরআইএম
Leave a reply