নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সারাদেশে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে র্যাবসহ পুলিশের এক লাখ ৮২ হাজার সদস্য। এছাড়াও আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর পাঁচ লাখ ১৭ হাজার সদস্য রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গম এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচন ঘিরে সবশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনে নাশকতার পরিকল্পনার খবর আগেভাগেই পেয়েছে পুলিশ। নির্বাচনের দিন বিএনপি বিকট শব্দে কোনো কিছুর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানান তিনি। তবে নাশকতার কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে দেয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে, অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তায় নির্বাচনের মাঠে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সশস্ত্র সদস্যরাও। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তাদের। এছাড়া, সহযোগী বাহিনী হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কাজ করবে ১২ জন করে আনসার সদস্য।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক জানান, ভোটকেন্দ্রের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনে আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান জানান, এ বছর দুটি প্লাটুন সন্দীপে মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিজিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা জানান তিনি।
দুর্গম এলাকার ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন বাহিনী সদস্যরা কাজ শুরু করেছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
এসজেড/
Leave a reply