ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় মৃত্যু উপত্যকা গাজা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২২ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি। শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত ৫৭ হাজার ২৯৬ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুহীন হয়েছেন ২৩ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল-কুদরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গেলো ২৪ ঘণ্টায় গাজার মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভবনে বিমান হামলায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১৬২ জন। এক দিনের ব্যবধানে আহত হয়েছেন ২৬১ জন।
এদিকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ফিলিস্তিনি সংক্রামক রোগের কবলে পড়েছে। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে, গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে নিহতদের মধ্যে ৮ হাজার শিশু রয়েছে। ৬ হাজার ২শ’ নারী। এখনও ৭ হাজার ৬শ’ মানুষ গণনার বাহিরে রয়েছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় ৫৫টি মসজিদ, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা এবং পাঁচটি ভবন ধ্বংস হয়েছে। বিবৃতি অনুসারে, ১ হাজার ৮শ’ শিশুসহ প্রায় ৬ হাজার জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জেরে ১ হাজার ২৭০টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি চিকিৎসকরাও। মোট ২০০ চিকিৎসক, ২২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও হামলায় নিহত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় রয়েছে ২৫টি হাসপাতাল, ৫২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করেছে।
অপরদিকে, হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আকস্মিক এই হামলায় জিম্মি করা হয় ২৪০ জন ইসরায়েলিকে।
\এআই/
Leave a reply