নারায়ণগঞ্জ করেসপনডেন্ট:
বাংলাদেশের আকাশে শকুন উড়ছে। এ শকুন আন্তর্জাতিক শকুন। ওদের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে ৭১ সালের পরাজিত শক্তি, এমন মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম ওসমান। বলেন, আমি নির্বাচনের পরিবেশ এখনও ভাল দেখছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি বাংলাদেশের সম্পদ। কারণ ওদের হাতে গেলে দেশ শেষ হয়ে যাবে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকায় কোথায় কী ভোট হচ্ছে আমি জানি না। সকাল থেকে এবাদতে ছিলাম। তারপর বাবা, মা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেছি। আমরা কমিটমেন্ট করেছিলাম উৎসবমুখর পরিবেশে ভোত দিব। আমি আমার নাতিকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এই ভোট ওদের ভবিষ্যতের জন্য। ওদের ভবিষ্যৎ শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তাকে হত্যার পর ভবিষ্যৎ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। এখনও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতকে চূর্ণবিচূর্ণ করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ওদের রাজনৈতিক দল বলি না। ওরা আগুন সন্ত্রাসীদের দল। গতকালও আগুন দিয়ে চারজনকে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদের রাজনৈতিক দল বললে রাজনীতিবিদদের অপমান হবে। গতকাল ফতুল্লায় একটি কেন্দ্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল।
এছাড়াও মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার পরে কিছুটাতো প্রভাব পড়েছেই। তাছাড়া, তারা বলেছে ভোটকেন্দ্রে আসলে লাশ হয়ে ফিরবে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ একটু ভয় পাবেই। তবে সর্ষের ভেতরও ভূত আছে। যারা নির্বাচন পরিচালনা করছে তাদের ভেতরও ভূত আছে। তারা চাইছে ভোটটা ঘুরাতে। আমি আমার এলাকায় এমন খবর পেয়েছি।
ঘটনাটি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রে খবর পেলাম সেখানে ভোটারদের বের করে দেয়া হচ্ছে সাথে মোবাইল থাকার কারণে। মোবাইল তো এখন সবার কাছেই থাকে। পরে আমি রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। এখন ভোট হচ্ছে। তবে এ সময়ে দুই তিন হাজার ভোটার কিন্তু ঘুরে চলে গেছে।
বক্তব্যে যারা মানুষ মারছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান শামীম ওসমান। বলেন, আল্লাহর রহমতের সাথে কেউ পারে না। আমি আমার দলের মধ্যে খারাপ দেখলে প্রতিবাদ করি। আপনারাও সাংবাদিক হিসেবে প্রতিবাদ করুন। আমাদপর তরুণ প্রজন্ম, আমাদের যুবকেরা এখন সচেতন।
/এমএইচ
Leave a reply