মাসসেরার লড়াইয়ে তাইজুলের সঙ্গী কামিন্স-ফিলিপস

|

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তাইজুল ইসলাম। দুই টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে ১৫ উইকেট নিয়ে আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আইসসির সেরা হওয়ার দৌড়ে তাইজুলের এটিই প্রথম মনোনয়ন পাওয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।

গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা (আইসিসি)। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ভারতের জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শার্মা ও জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গে।

বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাইজুল ইসলাম। টেস্টটি ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩৯ ওভার বল করে ১০৯ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন ৪টি উইকেট।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ঙ্কর ছিলেন তাইজুল। ৩১.১ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন ৬টি উইকেট। তাইজুলের পর নাঈমের ২ উইকেট শিকার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, পরে ঢাকা টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে হন সিরিজসেরা। তার অনবদ্য পারফর্ম করার পর আইসিসি মাস সেরা হওয়ার দৌড়ে মনোনয়ন পেলেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের আঙিনায় দু’টি টেস্ট খেলে অজিরা। সেখানে বোলার ও অধিনায়ক, দুই ভূমিকাতেই কামিন্স ছিলেন অসাধারণ। পার্থে ৩ উইকেট নেয়ার পর মেলবোর্নে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেন। বক্সিং ডে টেস্টের দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।

৯৭ রানে ১০ উইকেট নেয়ায় অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন কামিন্স। একই ম্যাচে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫০তম উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মেলবোর্নে জিতে সিরিজও নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে তারা ফেরে আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

সিলেট টেস্টে গ্লেন ফিলিপসের অলরাউন্ড নৈপুণ্য আড়ালে পড়ে যায় তাইজুলের চমৎকার বোলিংয়ের কারণে। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৫৪ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে ফিলিপস নেন ৫ উইকেট। মিরপুরে পরের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের নায়ক তিনিই। ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৭২ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

পরে ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দল যখন ৬ উইকেটে ৬৯ রানের নড়বড়ে অবস্থানে, ৪৮ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। এছাড়া প্রথম ইনিংসে অফ স্পিনে ধরেন ৩ শিকার। ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলেন ফিলিপস। সেখানে অবশ্য ভালো করতে পারেননি। তিন ম্যাচে করতে পারেন স্রেফ ১০ রান।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply