বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে জার্মান ফুটবল সম্রাটের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বেকেনবাওয়ার সেই তিন কিংবদন্তিদের একজন যারা খেলোয়াড় এবং কোচ উভয় ভূমিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান জটিলতায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ছিলেন কিছুদিন ধরেই। সপ্তাহখানেক আগেই তার ভাই ওয়াল্টার জানিয়েছিলেন, যদি আমি বলি যে তিনি ভালো আছেন, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। আমি মিথ্যা বলতে পছন্দ করি না। তিনি ভালো নেই। শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হচ্ছে তো আবার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও তার নাম থাকবেই। সেটা খেলার ধরনের কারণে যেমন, তেমনি তার রেকর্ডের কারণেও। মিডফিল্ডে শুরু করলেও পরে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হয়ে গিয়েছিলেন, তা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার শুনলে মনে হতে পারে – ডিফেন্ডার হয়ে খেলার ধরনে আর কী-ইবা দেখিয়েছেন! যা দেখিয়েছেন, তাতে ফুটবলে এক পজিশনই সত্তরের দশকে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। লিবেরো!
জাতীয় দলের হয়ে ১০৪ ম্যাচ খেলা এই ফুটবলার ১৯৭৪ বিশ্বকাপে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ১৬ বছর পর ইতালি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে জেতেন ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। গত শতাব্দীর ৭০ দশকের মাঝামাঝিতে কোচ হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখকে জেতান হ্যাটট্রিক ইউরোপীয় কাপের শিরোপা। ক্যারিয়ার জুড়ে সাফল্যের মুকুটে দুর্দান্ত সব পালক যোগ করার পথে তিনি সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বেকেনবাওয়ারের ডাকনাম ছিল ‘ডার কাইজার’ অর্থাৎ ‘শাসক’। আদতে নিজের সেরা সময়ে ফুটবল দুনিয়াকে শাসন করেই গেছেন বেকেনবাওয়ার।
/আরআইএম
Leave a reply