ভাগে পাওয়া আসনে ভরাডুবিতে ১৪ দল ও জাপায় অস্বস্তি

|

শাকিল হাসান:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি এবং জেপি’র সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় ২৬ টি আসনে। এর মধ্যে জাপা জয় পেয়েছে ১১টিতে। অন্যদিকে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপিকে ছাড় দেয়া ছয়টি আসনের মধ্যে জয় এসেছে মাত্র দু‘টিতে।

১৪ দলের জোটভুক্ত এসব শরিকরা নৌকা প্রতীক নিয়েও হেরেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রদের কাছে। রাশেদ খান মেনন জিতে গেলেও জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ভারাডুবি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে নির্বাচনে অংশ নেয়া চারটি দলে। প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলগুলোর সম্পর্ক আগের মতো থাকবে কি-না।

যদিও দলগুলোর নেতারা ফলাফল নিয়ে জানিয়েছেন সতর্ক প্রতিক্রিয়া। বলছেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

এ বিষয়ে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করে বলেন, আমি ভোট কারচুপির শিকার হয়েছি। দুর্ভাগ্যজনক। এটি হয়েছে সরাসরি প্রশাসনের সহযোগিতায়।

জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী এলাকায় রয়েছি। ঢাকায় গিয়ে দল ও জোটের সাথে বসবো। নতুন সরকার কীভাবে গঠন হয় দেখি। তারপর তারা কী নীতিতে চলে সবকিছু দেখে দল সিদ্ধান্ত নেবে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার রাখার জন্য এখনও কাজ করবো। জামায়াত-বিএনপি এখনও মাঠে আছে। তারা এই সরকারকে নামিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমেরিকা হুমকি দিচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই রাজনীতিটা শেষ হয়ে গেছে নাকি আছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সব এলাকার নির্বাচন সম্পর্কে এখনই কিছু মন্তব্য করবো না। আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। দলের সম্পর্কে চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করবো তারপর আমরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবো।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই নির্বাচনী সম্পর্ক আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির। ওই নির্বাচনে ২৭টি আসনে জয় পায় জাপা। ২০১৪ তে ৩৪টি, ২০১৮ সালে ২২টি আসন পেলেও এবার সেটা ঠেকেছে ১১-তে। শেষ দুটি সংসদে প্রধান বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply